Sun. Sep 21st, 2025
Advertisements

14kখোলা বাজার২৪ মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: মিয়া খলিফা! নীল পর্দা কাঁপানো একটা নাম। রাতের অন্ধাকারে অন্য রসায়ন বইয়ে দেয় বিছানা! উঠতি এই নীল-তারকাকে নিয়ে রহস্যের অন্ত নেই পুরুষ মনে। এমনকি বিশ্বের কুটনৈতিক মহলেও এই নীল তারকা বেশ চর্চিত। প্রত্যেকের মনে একটাই প্রশ্ন, নীল-দুনিয়া কাঁপানো এই নীল-সুন্দরী প্রকৃত অর্থে কাদের প্রতিনিধি?
খলিফা আরবি শব্দ। যার বাংলা অর্থ প্রতিনিধি। কিন্তু, এই লেবাননী নীল-সুন্দরীর পোশাক নিয়েই রয়েছে কোটি কোটি সমালোচনা। মুখ-মাথা ঢাকা হিজাব পরা মেয়েটি কি আসলে কারও প্রতিনিধি? পুরুষতান্ত্রিক মধ্যপ্রাচ্যে নানা রক্ষণশীল প্রথাকে দু’পায়ের তলায় মাড়িয়ে আজ বিশ্বের বুকে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এসবের পিছনে আছে তার জীবনের কিছু কষ্ট, না পাওয়ার বেদনা?
১৯৯৩ সালে লেবাননের বেইরুটে জন্ম। মাত্র ১০ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা শুরু। সেই ২০০০ সালে। স্কুল পেরিয়ে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট এল পাসো থেকে ইতিহাস বিষয়ে বিএ ডিগ্রি অর্জন। ২০১৪ সালে স্থানীয় ফাস্ট ফুড রেঁস্তোরায় কাজ শুরু। তারপর কোনভাবে জড়িয়ে পড়েন নীল-দুনিয়ায়। গত বছরের ডিসেম্বর ২৮ তারিখে তাকে পর্ণহাব তাদের ওয়েবসাইটের বিশ্বের ১ নম্বরের পর্ণোতারকা খ্যাতি দেয়!
মধ্যপ্রাচ্যে নানা রক্ষণশীল প্রথায় জর্জরিত মহিলা সমাজের কাছে এই ঘটনা অবাক করার মতই। অন্তত, যে দেশে আইএসআইএসের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতারা মহিলাদের বাজার বসাতেও পিছু পা হন না। ‘দস্যি মেয়ে’ এখানেই থেমে থাকেননি। সম্প্রতি মিঁয়া ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন, যেখানে মিঁয়ার হাতে আরবি ভাষায় লেখা লেবাননের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইন।
স্বাভাবিকভাবেই মিঁয়ার উত্থানে হইচই পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। মৌলবাদী সংগঠনগুলিও বসে নেই সমালোচনা করতে। মিয়া এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় থাকেন। কিছুদিন আগে নিন্দার জবাবও দিয়েছেন নিজের টুইটারে। মিঁয়া লিখেছেন, ‘আমাকে ছাড়া কি মধ্যপ্রাচ্যে আর কোনও গুরুতর সমস্যা নেই? দেশের একটা প্রেসিডেন্ট খুঁজে পাওয়া গেল? আইএসআইএস জঙ্গিদের বিষয়ে কী ভাবছে মধ্যপ্রাচ্য?’ ২১ বছরের মিয়া খলিফার এই সব মন্তব্য শুনে অনেকেই থমকে গিয়েছে।
ব্যাপারটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। একজন আরব দেশের পর্ন স্টার হয়ে ইসলামকে অপমান করবেন তাও পর্ন ভিডিওতে? এর মানে হচ্ছে আপনি আজরাইলকে মিস্কল দিচ্ছেন। সে যাই হোক, পরবর্তীতে ওয়াশিংটন পোষ্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই নীল-সুন্দরী বলেছেন, ব্যাপারটাকে স্যাটায়ার হিসেবে নিয়েছেন তিনি। ব্যাপারটা এভাবেই দেখা উচিত!
খলিফা বলেছেন, এককালে লেবানীজ জাতি নিজেদের মধ্যপ্রাচ্যের সর্বাধুনিক বলে গর্ব করত। তারা পাশ্চাত্য রীতিনীতি এতটাই অনুকরণ করত যে, নিজেদের নিয়ে গর্বিত ছিল। আজ তারা আদিম রীতিতে বিশ্বাসিত হয়ে শোষিত হয়ে গিয়েছে। তারা ভুলে গিয়েছে নারী অধিকার! স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, এসব কি শুধুই মিয়ার কথা? নাকি তিনি কারও প্রতিনিধি হয়ে বিশ্বে সামনে তুলে ধরছে এসব কথ