Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements

29খোলা বাজার২৪, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬ : যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক দাবি করেছেন, নতুন একটি ওষুধ মানুষের আয়ু প্রায় ১০ বছর বাড়িয়ে দিতে পারে। বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করার চেষ্টায় এ সাফল্যকে এক ধাপ অগ্রগতি বলা যায়। তবে এ ওষুধ মানুষের হাতে পৌঁছাতে আরও বহু বছর লাগবে।
গবেষণায় দেখা যায়, জিএসকে-থ্রি নামের প্রোটিন অণুগুলো মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে দেয়। আর সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারলেই জীবনকাল বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ফলের মাছির শরীরেও জিএসকে-থ্রি প্রোটিন থাকে। এদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, লিথিয়াম প্রয়োগে ওই প্রোটিনের কার্যক্রম ব্যাহত করা যায়। আর এতে প্রাণীটির আয়ু ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল), ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজি অব অ্যাজিং এবং ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবরেটরির যৌথ এ গবেষণার সূত্র ধরে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, লিথিয়াম বা সমজাতীয় অন্য কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলক কম হলে সেগুলো মানুষের আয়ু বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবহার করা যাবে। পাশাপাশি ওই প্রোটিন অণু সম্পর্কে আরও বিশদ ধারণা অর্জন করতে পারলে প্রবীণদের বিভিন্ন অসুখ (যেমন আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ, ডায়াবেটিস, ক্যানসার প্রভৃতি) নিরাময়ের চেষ্টায়ও সাফল্যের সুযোগ রয়েছে।
এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন সেল রিপোর্টস সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এটির প্রধান লেখক জর্জ ইভান ক্যাস্টিলো-কুয়ান বলেন, জিএসকে-থ্রি নিয়ে তাঁরা অনেক আশাবাদী। মধ্যবয়সে এটি নিয়ন্ত্রণের কার্যকর চিকিৎসা শুরু করতে পারলে প্রবীণদের অনেক রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনকে দীর্ঘ করার সম্ভাবনা রয়েছে। জীবনকাল বৃদ্ধি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে। সুস্থভাবে বাঁচতে না পারলে জীবনকে দীর্ঘায়িত করার সুফল মিলবে না। লিথিয়ামজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আলঝেইমার রোগটি শুরু হওয়ার বয়স ৭৫ থেকে ৯০ বছরে নেওয়া গেলে অবশ্যই সেটা অনেক ভালো হবে।