Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

42খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০১৬ : ভারতের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ বা প্রায় ৩৩ কোটি মানুষ এই মুহুর্তে ভয়ঙ্কর খরাকবলিত বলে কেন্দ্রীয় সরকার সে দেশের সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে।
খরা পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে সরকারকে শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে।
তারা বলেছে, খরা নিয়ে রাজ্যগুলোকে আগেভাগে সতর্ক করার দায় পুরোপুরি কেন্দ্রের – যে কাজে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
খরা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে মহারাষ্ট্রের লাটুর এলাকায় – দেশের অন্য প্রান্ত থেকে রেলওয়ে ট্যাঙ্কারে করে জল এনে ওই অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পঁচিশ লক্ষ লিটার পানীয় জল নিয়ে উত্তর ভারত থেকে একটি ‘ওয়াটার ট্রেন’ সদ্যই লাটুরে গিয়ে পৌঁছেছে।
পর পর দুবছর ধরে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম মৌসুমি বৃষ্টিপাত এবং তেলেঙ্গানা বা ওড়িশার মতো রাজ্যে প্রবল তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। খরা কবলিত এলাকায় ট্রেনে করে পানি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল সুপ্রিম কোর্টকে বলেছেন, দেশের মোট ২৫৬টি জেলা এখন খরার কবলে – যেখানে প্রায় ৩৩ কোটি মানুষ বা প্রতি চারজন ভারতীয়র মধ্যে একজন বাস করেন। তবে খরাকবলিত মানুষের সংখ্যা আসলে আরও বেশি হতে পারে, কারণ হরিয়ানা বা বিহারের মতো রাজ্যে অনেক কম বৃষ্টি হলেও তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে খরা পরিস্থিতি ঘোষণা করেনি।
ভারতের একটি এনজিও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বলেছিল, গ্রামীণ এলাকায় একশো দিনের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের যে ৩৮৫০০ কোটি রুপির বাজেট বরাদ্দ আছে তা এই খরাজনিত সঙ্কট মোকাবিলায় আদৌ যথেষ্ঠ নয়।
ওই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতকে জানিয়েছে, খরা-আক্রান্ত রাজ্যগুলো যাতে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারে তার জন্য তাদের জরুরি ভিত্তিতে বাড়তি আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
খরাকবলিত এলাকাগুলো থেকে ডিহাইড্রেশন এবং তাপপ্রবাহে বহু মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।