Fri. Sep 19th, 2025
Advertisements

8খোলা বাজার২৪,শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬: আমেরিকার রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ও বিশ্ব-শক্তিগুলোর মধ্যে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির জন্য এক পরিপূর্ণ বিপর্যয় এবং ওবামা ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যের বড় শক্তিতে পরিণত করেছেন।
গতকাল বুধবার ওয়াশিংটনের মে ফ্লাওয়ার হোটেলে এক সমাবেশে এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার কথা জানান তিনি। তার সম্ভাব্য সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ট্রাম্প চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক-উন্নয়ন এবং কথিত ইসলামী সন্ত্রাসের বিস্তার মোকাবেলার কথাও বলেছেন। কথিত ইসলামী সন্ত্রাস বিস্তারের মোকাবেলা তার সরকারের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান লক্ষ্য হবে বলে ট্রাম্প জানান।
ট্রাম্প বলেন, ‘ওবামা ইরানের সঙ্গে প্রেমময় দয়ার্দ্র আচরণ করেছেন এবং দেশটিকে মধ্যপ্রাচ্যের বড় শক্তিতে পরিণত করেছেন-আর এসবই করেছেন এ অঞ্চলে ইসরাইলসহ আমাদের অন্য মিত্রদের বিকিয়ে দিয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
তিনি বলেন, আমরা অন্য দেশগুলোকে পুনর্গঠন করছি, অথচ দুর্বল করছি নিজ দেশকে।
প্রায় আড়াই বছর ধরে জোরালো আলোচনার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য ও জার্মানি (অর্থাৎ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি) গত বছরের ১৪ জুলাই ইরানের সঙ্গে এক পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষর করে।
ট্রাম্প জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাপারেও ওবামা সরকারের নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, এই দেশগুলোকে আমেরিকা রক্ষা করে চলেছে, অথচ তারা এর ন্যায্য প্রতিদান দিচ্ছে না, যদি তারা মূল্য দিতে না চায় তাহলে প্রতিরক্ষার দায়িত্বও তাদের ওপরই ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হতে হবে ওয়াশিংটনকে।
ট্রাম্প সমর্থকদের বলেন, ‘আমেরিকা প্রথম’-ই হবে তার সরকারের প্রধান নীতি যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পূর্ব মার্কিন ঘরকুনো বা স্বতন্ত্রবাদীদের শ্লোগানের প্রতিধ্বনি।
মার্কিন ধনকুবের ট্রাম্প এরিমধ্যে নির্বাচনী বক্তব্যে মুসলমান, হিসপানিক ও নারী-বিদ্বেষী নানা মন্তব্য করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।