Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

27kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ২৩ মে, ২০১৬: সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রোববার মধ্যরাতে ঘোষিত হলো বিশ্বের জৌলুসময় কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণ পামের। যা সবাইকে আফসোসে রেখে চোখের সামনেই জয় করে নিয়েছেন বিখ্যাত ব্রিটিশ নির্মাতা কেন লোচ। ‘আই, ডেনিয়েল ব্ল্যাক’ ছবির জন্য তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাম ডি’অর বা স্বর্ণ পাম জিতেন কেন লোচ।
২ মে মধ্যরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এক বছরের অপেক্ষায় পর্দা নামলো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনের মর্যাদপূর্ণ ‘কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এর ৬৯তম আসরের। পৃথিবীর চলচ্চিত্র শিল্পের রথি মহারথিদের উপস্থিতিতে গত ১১ মে থেকে সরগরম ছিলো এই চলচ্চিত্র উৎসব। বিশ্বের সেরা সেরা নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রী আর সিনেমাটোগ্রাফাররা তাদের সেরা কাজ নিয়ে হাজির ছিলেন এখানে। কিন্তু রোববার দিবাগত রাতে স্বর্ণ পাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো বিশ্বের জৌলুসময় কান চলচ্চিত্র উৎসবের।
চলতি বছরে বিশ্বের ২১টি সিনেমা খুঁটি–নাটি বিষয় নিখুঁতভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ঘোষিত হল চলতি আসরের কান সেরা ছবির পুরস্কারের নাম। জুরি বোর্ডের প্রধান জর্জ মিলারই ঘোষণা করেন ‘পাম ডি অর’–এর জেতা সেরা ছবিটির নাম। উপস্থিত সবার চোখও ছিল এই স্বর্ণ পামের দিকেই। অতঃপর সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা কান উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণ পাম ঘোষণা করলেন তিনি। সকলের জল্পনা কল্পনাকে ব্যর্থ করে দিয়ে এবারের সেরা পুরস্কার নিয়ে নিলেন বৃদ্ধ নির্মাতা কেন লোচ। এটি কান উৎসবে তার দ্বিতীয় স্বর্ণ পাম জয়।
পাম ডি’অর জেতা বিখ্যাত নির্মাতা কেন লোচ বিশ্বের প্রায় সব বিখ্যাত আর জৌলুসময় পুরস্কার নিজের পকেটে পুড়েছেন। আর এবার দ্বিতীয় বারের মত কানের সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রহণ করলেন। এরআগে ২০০৬ সালে ‘দ্য উইন্ড দ্যাট শেকস দ্য বার্লি’র জন্য স্বর্ণপাম জেতেন কেন লোচ।
অন্যদিকে, কান উৎসবের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ পুরস্কার রোববার রাতে দিলেও গত শুক্রবারেই ঘোষিত হয়েছে কান উৎসবের বেশকিছু গুরত্বপূর্ণ পুরস্কার। এরমধ্যে ফিপ্রেসি বা আন্তর্জাতিক সমালোচনা অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে জার্মান সিনেমা ‘টনি এর্ডম্যান’। আর সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ‘ডিরেক্টর ফোর্ডনাইটস’ অ্যাওয়ার্ডটি জিতে নিয়েছে আফগানিস্তানের সিনেমা ‘ওফ এন্ড শিপ’। আফগান নারী নির্মাতা হিসেবে এটা আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রথম বিজয়। ছবিটি পরিচালনা করেছেন শারবানো সাদাত।