Thu. May 1st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

50খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০১৬: মডেল সাবিরা হোসেনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। বাবা বিদেশ থেকে ফিরলে লাশ দাফন করা হবে। একই সাথে সাবিরার প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে। মঙ্গলবার সন্ধায় এ তথ্য জানিয়েছেন সাবিরার মামা মো. মর্তুজা কাদির।
মডেল সাবিরা হোসেনের মামা মো. মর্তুজা কাদির জানান, সাবিরার বাবা দুবাইয়ে কর্মরত। তিনি বুধবার দেশে ফিরে আসলে ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা করার বিষয়ে সিদান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে সাবিরার মা, মামা ও পরিবারের সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ দেখতে যান।
ধারণা করা হচ্ছে- সোমবার শেষ রাতের কোনো একসময় এই মডেল আত্মহত্যা করেন। এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন ও একটি ভিডিও আপলোড করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, সাবিরা ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। এসময় তিনি তার প্রেমিক নির্ঝর সিনহা রওনকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার সকালে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সাবিরার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায় নির্ঝর সিনহা রওনক নামের এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গে এই মডেলের প্রেম ছিল। দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের ব্যাপারে অসম্মতি ছিল নির্ঝরের পরিবারের। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে আত্মহত্যা করেন সাবিরা।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাবিরা হোসেন লেখেন, ‘আমি তোমাকে দোষ দিচ্ছি না। এটা তোমার ছোট ভাইকে বলা। সে আমাকে যা ইচ্ছে বলেছে। আর বেস্ট পার্ট হল, সে আমাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। আর আমার প্রশ্ন হল, তোমার কি একটুও ফিল হয়নি?’
তিনি আরো লিখেছেন, ‘আমাকে ব্যবহার করবে, সেক্স করবে, আর আমি সরে যাবো। এটাতো হতে পারে না। বিয়ের কথা বললে তোমার পরিবার অসুস্থ হয়ে যায় আর সেক্সের কথা বললে সব ঠিকঠাক।’
সবশেষে নির্ঝরকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য সে (নির্ঝর) দায়ী। যদি আমি মারা যাই, তাহলে এর দায় তার।’
সাবিরা বেশ কিছু পণ্যের স্থিরচিত্রে মডেল হয়েছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের মডেল হিসেবেও দেখা গেছে তাকে। মডেলিং ছাড়াও মোহনা টিভি ও গানবাংলা টিভিতে উপস্থাপনায় তাকে দেখা গেছে। ফেসবুকের তথ্যে তিনি লিখেছেন- তিনি গানবাংলার মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ।