খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২২ জুন ২০১৬: পাকিস্তানের প্রখ্যাত কাওয়ালি শিল্পী আমজাদ সাবরিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার বিকেলে করাচির লিয়াকতাবাদ এলাকায় আমজাদ সাবরির গাড়িতে অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে তিনি নিহত হন।
পাকিস্তান পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) মুস্তাক মেহার জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলে এসে দুজন অস্ত্রধারী সাবরির গাড়িতে গুলি চালায়। এ ঘটনাকে তিনি ‘টার্গেট কিলিং’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরো জানান, হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়নি।
৪৫ বছর বয়সি কাওয়াল আমজাদ সাবরি বুধবার বিকেলে গাড়ি নিয়ে তার এক সহযোগীর সঙ্গে করাচির লিয়াকতাবাদে ঘুরছিলেন। এ সময় তাদের ওপর হামলা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদেরকে আব্বাসি শহীদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক সাবরিকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাম আহমেদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, মোটরসাইকেলে এসে দুই ব্যক্তি একটি গাড়ির এক পাশে দুই বার গুলি চালায়। মুহূর্তেই অন্য পাশে ঘুরে গিয়ে আরো চার বার গুলি চালায় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
অতিরিক্ত সার্জন ডা. রহিনা হাসান আমজাদ সাবরির মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সাবরির মাথায় দুটি এবং কানে একটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে।
আমজাদ সাবরি শুধু পাকিস্তানের নন, ভারতীয় উপমহাদেশেরও একজন জনপ্রিয় কাওয়াল (কাওয়ালি শিল্পী)। তার গানের সুর ও কথায় স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। মধুর কণ্ঠের জন্যও তিনি শ্রোতাদের মধ্যে নন্দিত।
২০১৪ সালে ধর্ম অবমাননা ইস্যুতে আমজাদ সাবরি ও দুটি টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট নোটিশ পাঠান। সকালের অনুষ্ঠানে কাওয়ালি প্রচার করায় এ নোটিশ পাঠানো হয়।
পাকিস্তানের প্রখ্যাত কাওয়াল মকবুল সাবরির ভাতিজা আমজাদ সাবরি। মকবুল সাবরি ২০১১ সালে মারা যান।
মকবুল সাবরি ও তার ভাই গোলাম ফরিদ সাবরি মিলে ১৯৫০-এর দশকে একটি কাওয়ালি দল তৈরি করেন। তাদের দলের গান পাকিস্তানসহ ভারতীয় উপমহাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমাদর পায়।
মকবুল সাবরির মৃত্যুর পর বংশ পরম্পরায় কাওয়ালি চর্চার কেন্দ্রে চলে আসেন আমজাদ সাবরি। বর্তমানে পাকিস্তানে কাওয়ালি জগতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তিনি।
সাবরি ভাইদের গাওয়া কাওয়ালি সব সময়েই জনপ্রিয়। এর মধ্যে ভার দো ঝোলি মেরি ৃ, তাজদার-ই হারাম ৃ, মেরা কই নাহিন হাই তেরে সিয়া ৃ উখেল্লযোগ্য।