খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০১৬: কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা শ্রাবন্তী। এখন তিনি বাংলাদেশেরও প্রিয় মুখ। শাকিব খানের সঙ্গে ‘শিকারী’ সিনেমার মাধ্যমে যৌথ প্রজোযনার সিনেমায় নাম লেখান এই মিষ্টি মেয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে বাংলাদেশি দর্শকদের প্রশংসায় ভাসালেন শ্রাবন্তী। নতুন জীবনের গল্প, বাংলাদেশে অভিনয়সহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন শ্রাবন্তী-
– জীবনে ফের একটা বদল হল। কেমন উপভোগ করছেন?
শ্রাবন্তী: খুব বেশি বদল যে হয়েছে, এমন নয়। সিঙ্গল থেকে মিঙ্গল হয়েছি। বাকি সব যেমন চলছিল তেমনই আছে। আসলে বিয়ে নিয়ে সকলে এত প্রশ্ন করছে, যে এবার আমার অস্বস্তি হচ্ছে।
– সেটাই তো স্বাভাবিক!
শ্রাবন্তী: হ্যাঁ। আমিও বুঝতে পারছি সেটা। ভাল লাগছে নতুন করে জীবনটা শুরু করতে পেরে। আমি একটু সংসারী মেয়ে। সকলকে নিয়ে সংসার করতে ভালবাসি। চেষ্টা করছি নতুন জীবনে ভাল থাকার।
– আপনাদের রেজিস্ট্রিও হয়ে গিয়েছে। তাহলে সামাজিক বিয়েতে দেরি করছেন কেন?
শ্রাবন্তী: একটু সময় নিচ্ছি। ঠিক হলে তো আপনারা জানতেই পারবেন!
– কী দেখে মনে হল, কৃষাণ আপনার জীবনসঙ্গী হতে পারেন?
শ্রাবন্তী: জীবনসঙ্গী হওয়ার আগেই ও আমার খুব বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। সেই থেকেই মনে হল এর সঙ্গে পথ চলা যায়। মনে হয় ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি!
– কৃষাণ মুম্বইয়ের ছেলে। আপনিও কি মুম্বাইয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন?
শ্রাবন্তী: কৃষাণ কিন্তু মাঝেমধ্যেই কলকাতায় থাকে। এখন যেমন টানা অনেকদিন রয়েছে। এই বর্ষার সময়টা মুম্বাইয়ে খুব একটা মডেলিং অ্যাসাইনমেন্ট থাকে না। ফ্যাশন শো’ও থাকে না। তাই এই দু’মাস কলকাতায় চলে এসেছে। আগস্টের শেষ থেকে আবার মুম্বাইয়ে চলে যাবে।
– আর আপনি?
শ্রাবন্তী: যদি মুম্বাইয়ে গিয়ে কাজের কথা বলেন, তাহলে বলব আমি এতটাই কুঁড়ে যে এখন মুম্বাইয়ে গিয়ে নতুন করে কেরিয়ার শুরু করার কথা ভাবতে পারব না। আগেও চেষ্টা করিনি। তাহলে ওখানে গিয়ে থাকতে হতো। স্ট্রাগল করতে হতো। আসলে টলিউডে আমি এত স্বচ্ছন্দ আর খুশি যে, কোনওদিন মুম্বাইয়ে যাওয়ার কথা ভাবিইনি। এত ছোট থেকে এখানে কাজ করছি, যে পরিচালক-প্রযোজক সকলেই ভালবাসেন।
– মডেলিং থেকে অনেকেই সিনেমায় আসেন। কৃষাণেরও কি তেমন ইচ্ছে রয়েছে?
শ্রাবন্তী: ও এখন মডেলিংয়ে মন দিতে চায়। তবে পরে অভিনয়ে আসতেই পারে। আর নায়িকা তো আমি রয়েছিই (হাসি)!
– বাংলাদেশে তো ছবি করছেন?
শ্রাবন্তী: ভারত-বাংলাদেশ প্রযোজনার ছবি করতে গেলে যে বাংলাদেশে গিয়েই থাকতে হবে, এমন তো নয়। বাংলাদেশের কাজ করার ধরনটা আবার আলাদা। ওখানে গিয়ে কাজ করতে কিন্তু আমার কোনও আপত্তি নেই। এবার গিয়েই এত খেয়েছি! প্রচুর ইলিশ খেয়েছি। ওরা অনেক রকমের ভর্তা বানায়। চিংড়ির ভর্তা তো দারুণ খেতে! বাংলাদেশে আমার প্রচুর ভক্ত। ওরা সত্যিই বাংলা ছবি দেখে। যেটা কলকাতায় আমরা দেখতে পাই না। বাঙালি ছেলেমেয়েদের নাকি বাংলা ছবি দেখতে ইচ্ছে করে না! এদের উপর আমার ভীষণ রাগ হয়। বাংলাদেশে কিন্তু সকলে আগে বাংলা ছবি দেখে।
– ‘শেষ সংবাদ’এ তো আপনি সাংবাদিকের চরিত্রেৃ।
শ্রাবন্তী: এর আগে ‘কানামাছি’তেও সাংবাদিক হয়েছিলাম। তবে ওটা অনেক বেশি বাণিজ্যিক ছবি। ‘শেষ সংবাদ’ তুলনায় অনেক সিরিয়াস। আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং একটা ছবি।
– আপনার একজন বন্ধু রেস্তোরাঁ খুলেছেন। আপনারও কি ইচ্ছে রয়েছে ভবিষ্যতে অভিনয়ের বাইরে অন্য কিছু করার?
শ্রাবন্তী: ব্যবসা করার ইচ্ছে রয়েছে। নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলতে চাই। তবে এই মুহূর্তে নয়।