খোলা বাজার২৪, রোববার, ৩১ জুলাই ২০১৬: মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় অভিযুক্ত বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির অন্তত আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
রোববার পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বাই, গুজরাট এবং আরও কয়েকটি জায়গায় মমতার আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টগুলোতে ভারতীয় এবং বিদেশি মুদ্রা মিলিয়ে ৯০ লাখ রুপিরও বেশি অর্থ রয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্টগুলো মাদকপাচারের কাজে ব্যবহার করা হতো। তাই তদন্তের স্বার্থে চলতি সপ্তাহে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মুম্বাইয়ের মালাডে একটি বেসরকারি ব্যাংকে মমতার বিপুল পরিমাণে বিদেশি অর্থ সঞ্চিত ছিল। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬৭ লাখ রুপি।
এছাড়া, কল্যাণ, ঠাণের বদলাপুর, পারেল, নরিম্যান পয়েন্ট, ধারাভি, গুজরাটের রাজকোট, ভুজের কয়েকটি অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৬ লাখ রুপি পাওয়া গেছে।
তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশ মমতার বোনকে জেরা করেছে। কারণ মমতার বোনই অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করতেন। এছাড়া অ্যাকাউন্টগুলোতে লেনদেন করতেন, এরকম আরও কয়েকজনকেও জেরা করেছে পুলিশ। মমতার অন্য সম্পত্তির খোঁজও শুরু হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল ঠাণে পুলিশ মাদক পাচারের অভিযোগে নাইজেরিয়ার এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করে সোলাপুর জেলায় একটি সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালিয়ে দুই হাজার কোটি রুপি মূল্যের সাড়ে ১৮ টন মাদকের (এফিড্রিন) খোঁজ পায়। এর পরেই মমতা এবং তার স্বামী ভিকি গোস্বামীর মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসে।
পুলিশের দাবি, কেনিয়া এবং দুবাইয়ে মাদকপাচার সংক্রান্ত ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মমতার। যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সীতার মতো। সীতাকে কেউ বিশ্বাস করেনি বলে তাকে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল। রাবণের লংকায় থাকার ফলে তার সম্মান নষ্ট হয়েছিল। ভিকির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার ফলে আমার সুনামও নষ্ট হয়েছে।’
ওই ঘটনায় ১৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঠাণের জেলা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে।