Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

22kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০১৬: নন্দিত চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর চলে গেছেন পাঁচ বছর হয়ে গেল। আজ তাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে এ দুই গুণী ছাড়াও মানিকগঞ্জের ওই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আরো তিন চলচ্চিত্রকর্মীর।
একজন নির্মাতা হিসেবে তারেক মাসুদের কথা সবারই জানা। এ দেশের চলচ্চিত্রকে তিনি বিশ্বদরবারে পরিচিত করিয়েছেন। তার পরিচালিত আদম সুরত, মুক্তির গান, মাটির ময়না, রানওয়ে, অন্তর্যাত্রা ছবিগুলো সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এমনকি কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে বিশেষ সমালোচক পুরস্কারও জয় করেছেন।
এক কথায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন এ নির্মাতা। তারেক মাসুদের ‘মুক্তির গান’, ‘মুক্তির কথা’ কিংবা ‘মাটির ময়না’ স্বাধীনতা যুদ্ধের এক প্রামাণ্য দলিল। মাত্র ৫৫ বছর বয়সেই চলে যান মেধাবী এই চলচ্চিত্রকার।
আশির দশকের গোড়ার দিকে খ্যাতনামা শিল্পী এসএম সুলতানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’ দিয়েই তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের শুরুটা হয়েছিল। তখন দুই বন্ধু এসএম সুলতানের সঙ্গে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বেড়ান। ১৯৮২ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত সাত বছর সুলতানের সান্নিধ্যে থেকে নির্মাণ করেন প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’। এরপর তারেকের অধিকাংশ ছবিতে ক্যামেরার জাদু দেখিয়েছেন মিশুক মুনীর। সিনোমাটোগ্রাফার হিসেবে মিশুক মনীর নিজেকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
অনেক প্রতিষ্ঠিত সংবাদকর্মিরও আদর্শ ছিলেন মিশুক মুনীর। চলচচ্চিত্র অঙ্গনের এই দুই গুণীও স্মরণে আজ যৌথভাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও স্মরণ আলোচনার আয়োজন করেছে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং প্রজন্ম ’৭১।