আর এ উপলক্ষে নিউইয়র্কে আয়োজন করা হয়েছিল এক সংবাদ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রটির পরিচালক নার্গিস আক্তার। আরো ছিলেন চলচ্চিত্রটির নায়ক টনি ডায়েস। তারা সেখানকার প্রবাসী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ড্রামা সার্কেল আয়োজিত নিউইয়র্কে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার হবে জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স সিনেমাস, আর ডালাসে শিকাগো বায়োস্কপ এবং বাংলা গ্রুপ আয়োজিত শো হবে ১৬ অক্টোবর বিকেল ৩টায় রিচার্ডসন শহরের ফান এশিয়না থিয়েটারে।
দীর্ঘদিন ধরেই টনি ডায়েস আমেরিকা প্রবাসী। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সুখের বসতি। অতঃপর টনির এখন নিজের শহরটিই যেন নিউইয়র্ক। সেখানে নিজের ছবির প্রিমিয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে যে, ‘পৌষ মাসের পিরিত’ চলচ্চিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে। নিউইয়র্ক এখন আমার কাছে ঢাকা শহরের মতো মনে হয়। প্রচুর বাংলাদেশিদের বসবাস। বিশেষ করে জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, এস্টোরিয়া, এহলমার্টস, ওজন পার্ক, ব্রুকলিন এসব এলাকাগুলোতে প্রচুর বাংলাদেশি থাকেন। আমরা সবাই কিন্তু এখানকার বড় বড় থিয়েটারে গিয়ে প্রায় হিন্দি ছবি অথবা ইংলিশ ছবি দেখছি। কিন্তু আমরা তো কেউ এখানে বাংলাদেশের ছবি দেখার সুযোগ পাচ্ছি না। শুধু আমাদের চলচ্চিত্রকে দোষারোপ করে যাচ্ছি যে, আমাদের ছবি ভালো হচ্ছে না। কিন্তু যে ক’টা ভালো চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছে তা-ও তো আমরা দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করি না। আমরা ছোটবেলায় বাবা-মাসহ সবাই মিলে ছবি দেখতে যেতাম।’
দেশের বাইরে আরো চলচ্চিত্র প্রচারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের হলে চলচ্চিত্রটি চালাতে হলে আগে বাংলাদেশের প্রযোজকদের সহযোগিতা দরকার। দেশে বসে ওনারা মনে করেন এখানে একটি শো চালিয়ে অনেক মুনাফা হয়। বাস্তবে কিন্তু উল্টো। যদি একটি শো হাউসফুল হয় তাহলে হয়তো খরচ উঠতে পারে খুব বেশি। এর বেশি কিছু নয়। তাই বলে কি আমরা আমাদের ছবি এখানে চালাবো না। অবশ্যই চালাতে হবে আমাদের প্রজন্মের জন্য। আমি খুবই আশাবাদী যে, এই ছবির গল্পে নতুন প্রজন্ম আমাদের গ্রামকে দেখবে, দেখবে সেই মানুষগুলোর সংগ্রাম।