খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬: এতদিন চুপ করে থাকার পর এবার প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন রাহুল রাজ সিং।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় রাহুল রাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে আইনজীবী নীরজ গুপ্তার গুরুতর অভিযোগ।
তিনি এই মুহূর্তে প্রত্যুষার বাবা-মায়ের হয়ে মামলাটি হাতে নিয়েছেন এবং রাহুলের সঙ্গে প্রত্যুষার শেষ কথোপকথনের যে ট্রানস্ক্রিপ্ট তৈরি করা হয়েছে, সেটি তার জিম্মাতেই রয়েছে। সেই ট্রানস্ক্রিপ্টের ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ করেন যে, প্রত্যুষাকে দেহব্যবসার দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন রাহুল।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পরে খুব স্বাভাবিকভাবেই সারা দেশের সংবাদমাধ্যমে আলোড়ন পরে যায়। রাহুল প্রাথমিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও সেভাবে প্রতিবাদ করেননি। বেশ নীরবেই ছিলেন।
কিন্তু শনিবার নীরবতা ভেঙে এই বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন একটি বলিউড গসিপ ওয়েবসাইটকে। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে, মুম্বাইয়ের সংবাদপত্রে যা প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং যিনিই এই কাজ করে থাকুন না কেন, তিনি দেশের বিচার-কাঠামোর বিরুদ্ধে গিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি বহু কথা বলেন এবং একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন প্রত্যুষার বাবার বিরুদ্ধে। রাহুলের বক্তব্য, প্রত্যুষা অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন কারণ ওর বাবা ওকে ‘বেশ্যা’ বলেছিলেন।
রাহুল সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কোনও মেয়েকে তার বাবা ‘বেশ্যা’ বললে সেটা সে কখনোই সহ্য করতে পারে না। আমি ওকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলাম এবং বলেছিলাম এইসব কথাবার্তা যেন সে মাথায় না নেয়। কিন্তু ও কিছুতেই শান্ত হতে চাইল না কারণ এমন একটা শব্দ যিনি উচ্চারণ করেছিলেন তিনি আর কেউ নন, ওর বাবা।’
রাহুল আরও বলেন যে, কোনও মানুষ মারা যাওয়ার পরে তার নামে কোনও কিছু বলাটা খুবই দুঃখজনক। আজ সংবাদের শিরোনামে প্রত্যুষার নামের পাশে ‘বেশ্যা’ কথাটা লেখা হচ্ছে অথচ প্রত্যুষার পক্ষে তো আর এসে বলা সম্ভব নয় যে তিনি আসলে ‘বেশ্যা’ ছিলেন না।
তিনি প্রত্যুষাকে বাঁচানোর জন্য কীভাবে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন সেই বিবরণও দিয়েছেন রাহুল এবং বলেছেন প্রত্যুষার মৃতদেহ তার কাকার হাতে তুলে দিয়ে তিনি তাড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে চলে এসেছিলেন কারণ বহু মানুষের মিথ্যা সহানুভূতি তিনি সহ্য করতে পারছিলেন না।