খোলা বাজার২৪,বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬:
নিজেদের প্রতিভা এবং প্রতিভা বিকাশের অদম্য চেষ্টা ছিল তাদের। তাই অল্প বয়সেই তাঁরা অকালপক্ক তারকা খ্যাতি তকমা গায়ে জড়িয়েছে। নিজ গুণে তারকা খ্যাতি জুটেছে, সঙ্গে খ্যাতির বিড়ম্বনাও। বিশ্বজুড়ে অগুনতি ভক্ত তাঁদের, সমালোচকও অনেক। সমালোচকদের মতে, এই তারকাদের অনেক কিছুই অনুকরণীয় নয়। আসুন এবার জেনে নিন এমন পাঁচজন তারকার নাম। যারা অল্প বয়সেই পেকে তারকা খ্যাতি জড়িয়েছেন।
জাস্টিন বিবার: তাকে নতুন করে পরিচয় করাতে যাওয়াটা বোকামি। সবাই জানে, ২০০৭ সালে ইউটিউব ভিডিও-র মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ করার সময় সংগীত শিল্পী বিবারের বয়স ছিল ১৩ বছর। দু’বছর পরই তারকা। কানাডার নাগরিক জাস্টিন ড্রিউ বিবার এখন তারকাদেরও তারকা। তবে তরুণীদের হার্টথ্রব হলেও প্রতিবেশীদের কাছে বিবার বেশ অপ্রিয়। প্রতিবেশীদের অপছন্দ হলেও জনপ্রিয়তার কমতি নেই তার।
মাইলি সাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রের পপ তারকা ও অভিনেত্রী মাইলি সাইরাসও ছোটবেলা থেকেই তারকাজগতের বাসিন্দা। ডিজনি চ্যানেলের ‘হানা মনটানা’ সিরিজে সুযোগ পেয়ে যান মাত্র ১৪ বছর বয়সে। বাবা বিলি রে কান্ট্রি সিঙ্গার। তাঁর প্রেরণায় মেয়েও গান শিখেছেন। সেই সুবাদে মাইলি এখন পপ সুপারস্টার।
ব্রিটনি স্পিয়ার্স: ১৯৯৯ সালে ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ এবং ২০০০ সালে ‘উপসৃআই ডিড ইট এগেইন’ অ্যালবাম দিয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেলেও ব্রিটনি স্পিয়ার্স কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই সুপরিচিত। একচ্ছত্র সুখ্যাতি তিনিও ধরে রাখতে পারেননি। নেশা জাতিও পানি অভ্যাস ছাড়তে তাঁকেও সংশোধন কেন্দ্রে যেতে হয়েছে। এখন বেশ ভালো আছেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স।
মাইকেল জ্যাকসন: পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনেরও খ্যাতি অনেক। মাত্র ১১ বছরেই টপ চার্টে নাম লেখানো জ্যাকসন মাত্র ৫০ বছর বয়সে মারা যান। মৃত্যুর আগে একটা সান্ত্বনা তিনি পেয়েছেন। শিশুদের বিরুদ্ধে অনৈতিক অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তবে তদন্তে সেই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ড্রিউ ব্যারিমোর: যুক্তরাষ্ট্রের অভিনয় জগতের বিখ্যাত ব্যারিমোর পরিবারে তাঁর জন্ম। ড্রিউ ব্যারিমোরকে তাই মাত্র ১১ মাস বয়সে বিজ্ঞাপন চিত্রে দেখা গিয়েছিল শুনলেও কারও মনে বিস্ময় জাগে না। ড্রিউ শিশুকালে নেশা জগতে ছিলেন। তা জেনে অনেক ভক্তই হতাশ। ড্রিউ ব্যারিমোর অবশ্য সেই তারকা, যিনি কম বয়সে এই জগত ছেড়ে তারকা খ্যাতির শিখরে উঠেছেন।
লিন্ডসে লোহান: মার্কিনদের আরেক অভিনেত্রী-গায়িকা লিন্ডসে লোহান। ‘প্যারেন্ট ট্র্যাপ’ ছবিতে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করে তারকা হয়ে ওঠার সময় বয়স ছিল মাত্র ১১ বছর। কিন্তু একসময় অভিনয় বা সংগীতের চেয়ে নেশা জগতে প্রবেশ করে। পরে অবশ্যই নিজেকে শোধরাতে সংশোধন কেন্দ্রেও গিয়েছেন বেশ কয়েকবার। কিন্তু এখনও হারানো উচ্চতায় ফিরতে পারেননি।