খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০১৭: শাকিব-অপুকে কেন্দ্র করে সারা দেশ সরগম —
প্রথমে জানতাম না। ফেসবুকেই চোখে পড়েছে। এরপর একের পর এক ফোন আসতে শুরু করে। পরে টেলিভিশনে বিষয়টি দেখলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র।
তাঁদের দুজনের দ্বন্দ্ব নাকি আপনাকে ঘিরে?
অপু বিশ্বাসের কথায় সেটা মনে হয়েছে। কিন্তু এটা কেমন কথা, আমাকে কেন টানছেন তিনি? আগেও একবার আমাকে ফোন দিয়ে বাজে ব্যবহার করেছেন। এখন সামাজিকভাবে আমাকে ছোট করার চেষ্টা করছেন তিনি।
শাকিবকে সমর্থন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার মানে কি অপু দোষী?
আমি সরাসরি শাকিবকে সমর্থন করিনি। শুধু বলেছি অপুর ব্যবহারের কথা। তিনি যদি সত্যিই স্ত্রীর মর্যাদা চাইতেন তাহলে এত দিন সামনে আসতেন। আসলে তিনি স্ত্রীর অধিকার না, ক্যারিয়ার চেয়েছেন। আজ শাকিব যদি তাঁকে নিয়ে নতুন ছবির ঘোষণা দিতেন তাহলে হয়তো এমন কিছু ঘটত না।
আপনি অপুকে প্রশ্ন করেছেন—২০০৮ সালে বিয়ে হলে এত দিন কোথায় ছিল? কোন দিক বিবেচনা করে প্রশ্নটা করেছেন?
বাঙালি মেয়ের বিয়ে হলে সবার আগে সে সংসারকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু অপু কি সেটা করেছেন? ২০০৮ থেকে ১৬—দীর্ঘ আট বছর ক্যারিয়ারের পেছনে দৌড়েছেন। কই! তখন তো মুখ খোলেননি? আর আজ শাকিব-বুবলি যেই হিট করেছে, দর্শক গ্রহণ করেছে অমনি তিনি স্ত্রী হতে চাইলেন।
আপনার অভিযোগ ‘রংবাজ’ ছবিটির ঘোষণার পরপরই অপু মুখ খুলেছেন। কারণটা কী?
অপু জানেন এই ছবিটা হিট করবে। আর তাই ছবিটা যেন না হয় সেই খেলায় মেতেছেন। আসলে অপু চান না, শাকিব-অপুর বাইরে শাকিব-বুবলি আরেকটি হিট জুটি হোক।
একজন নারী হিসেবে অপুর জায়গায় থাকলে আপনি কী করতেন?
আমি বিয়ের দিন থেকেই নিজের অধিকার বুঝে নিতাম। দরকার পড়লে মিডিয়া ছেড়ে দিয়ে সংসার করতাম। তাহলে এতটা বাজে পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
অবশেষে শাকিব-অপু তো এক হয়েছেন।
আমিও চেয়েছিলাম তাঁরা এক হোক। এটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। আশা করছি, স্বামী-সন্তান নিয়ে অপু সুখী হবেন। তিনি আমার সিনিয়র। তাঁর জন্য শুভ কামনা রইল।