Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭: 69একদিকে চলছে যৌথ প্রযোজনার নানা অনিয়ম নিয়ে চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের আন্দোলন। অপরদিকে প্রযোজক, বুকিং এজেন্ট ও হল মালিকরা ‘গো’ ধরেছেন এই বলে- যৌথ প্রযোজনার ছবিই চালাবেন তারা, সেটা যেভাবেই হোক। কলকাতার সঙ্গে জাজের ‘বস-টু’ ও ‘নবাব’কে ঘিরেই মূলত চলমান বিতর্ক।
এরই মধ্যে ১৮ জুন রাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাজ এর নেতৃত্বে। এ সম্মেলনে প্রযোজক, বুকিং এজেন্ট, হল মালিক ও শিল্পীরাও উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তব্য রাখেন অমিত হাসান, শিবা শানু, আরিফিন শুভ, শাকিব খান, কাজীহায়াত, ইফতেখার নওশাদ, আব্দুল আজিজসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেতা-পরিচালক নাদের চৌধুরী। অমিত হাসান বলেন, ‘সরকারি নিয়ম মেনেই ছবিগুলো নির্মিত হয়েছে। তারপরও কেন এটার বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না।’
এদিকে বুকিং এজেন্টদের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলনে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ছবি দুটি (বস-টু ও নবাব) মুক্তি না পেলে সারাদেশের হল মালিকরা তুমুল আন্দোলন করবে এবং যারা এই ছবি দুটির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তাদের ছবি হলে চালানো হবে না!
যৌথ প্রযোজনার ছবির বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছে তাদের লক্ষ্য করে দেশের এক নম্বর নায়ক শাকিব খান বলেন, ‘আন্দোলন করুক আর যাই করুক না কেন সবাই ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করছে।’ শাকিব উত্তেজিত কণ্ঠে আরও বলেন, ‘যারা বলছে আমি যৌথ প্রযোজনার ছবির বিরুদ্ধ আন্দোলন করে আমিই যৌথ ছবি করছি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আমি ভারতীয় হিন্দি-উর্দু ছবির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি যৌথ প্রযোজনার বাংলা ছবির বিরুদ্ধ নয়।’
শাকিব আরও বলেন, ‘নবাব ছবিতে যৌথ প্রতারণা আছে কিনা সেটা দেখেন। আর সেইসব মুর্খদের বলছি আমরা সবসময় বাংলাদেশের ছবির পক্ষেই থেকেছি এখনও আছি। ভবিষ্যতেও থাকব। সরকারের নিকট অনুরোধ করবো আমরা যারা ভালো কাজ করছি তারা যেন নির্বিঘেœ কাজ করতে পারি, সেই সুযোগ দেয়।’
ছবি: বাংলা ট্রিবিউনএদিকে একই অনুষ্ঠানে অনেকটা শাকিব খানকে উদ্দেশ্য করে নায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘কাফনের কাপড় পরে যারা আন্দোলন করেছিলেন তারা ক্ষুদ্র স্বার্থেই আন্দোলন করেছেন। আমার কাজ অভিনয় করা, যৌথ প্রযোজনা কিনা সেটা দেখা সরকারেরর কাজ। আমি যৌথ প্রযোজনার ছবির পক্ষে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।’
প্রযোজক আবদুল আজিজ বলেন, ‘যাদের কাজ নেই তারাই আন্দোলন করছে। মিশা সওদাগরসহ আরও যারা আছে তাদেরকে ডাক দিলেই আন্দোলন ছেড়ে যৌথ প্রযোজনার ছবি করতে চলে আসবে। আমরা আস্তে আস্তে কলকাতায় আমাদের শিল্পীদের ঢোকানোর কাজ করছি। আমাদের সিনেমা হল বাঁচাতে হলে বড় বাজেটের সিনেমা বানাতে হবে।’
আজিজ আরও বলেন, ‘যারা ছবি বানাচ্ছে না, হল বানাচ্ছে না, ছবি প্রযোজনা করছে না তারাই এখন আন্দোলন করছেন। আমি মনে করি আন্দোলন ছেড়ে কাজে নামুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বস-টু’ ও ‘নবাব’ মুক্তি না পেলে জাজের অধীনের হলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ হুমকির সুরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ছবি দুটি মুক্তি না পেলে আমাদের সিনেমা হলগুলো ঈদে বন্ধ করে রাখব। কারণ এ ছবিগুলোর সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়িক ইনভলবমেন্ট আছে।’
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের শেষদিকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন- ঈদে মুক্তিপ্রতিক্ষীত দেশের অন্য দুটি ছবির ভবিষ্যত তাহলে কী হবে? বিতর্কিত যৌথ প্রযোজনার দুই ছবির জন্য কি দেশের দুটি ছবি দর্শক দেখবে না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান বক্তারা। এর সূত্র ধরে বিশৃঙ্খল পরিবেশেরও সৃষ্টি হয়।