Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

k19শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭: পুজোর নবমীর দিন থেকেই টালিউডে ঝড় তুলছে নির্মাতা রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে অভিনেত্রী মিম ও শুভশ্রীর ক্রিভূজ প্রেমের খবর। ভারতীয় মিডিয়ার খবর, নবমীর দিনে প্রেমিক রাজের সঙ্গে গোয়া যান সাবেক প্রেমিকা শুভশ্রী। কিন্তু মানুষের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য রাজের সঙ্গে মিমি গোয়া গিয়েছেন বলে প্রচার করেন শুভশ্রী। খবরটি কানে যাওয়ার পর অন্তত এমন অভিযোগই করেন মিমি। শুভশ্রীকে উদ্দেশ্য করে একগাদা কথাও শুনিয়ে দেন মিম। এমনকি তাকে অশিক্ষিত বলেও কটাক্ষ করেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিমির সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন শ্রভশ্রী। বললেন, মিমি আমাকে অশিক্ষিত ও ক্লাসলেস বলেছে। আমার মনে হয়, সে খুব হতাশায় ভুগছে। এ জন্যই অন্য মানুষ সম্পর্কে এ ধরণের কথা বলছে। ওর শিক্ষা কেমন, তা ওর কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। আমি ওকে কিছুই বলবো না। কারণ আমি সেই শিক্ষা পাইনি। আমি ওর মতো কনভেন্ট এডুকেটেড নই। খুব বেশি পড়াশোনাও করিনি। বর্ধমানের সাধারণ পরিবারের মেয়ে। কিন্তু সেখানে আমাকে মানুষকে সম্মান দিতে শেখানো হয়েছে। সবাইকে সম্মান করি বলেই ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট থেকে বড় সবাই আমাকে ভালবাসে।

শ্রভশ্রী বলেন, ‘টুইটারে আমি মিমিকে ফলো করি। কিন্তু সে আমার সম্পর্কে যা যা বলেছে অবশ্যই খারাপ লেগেছে। আমার অনেকগুলো হিট ছবি রয়েছে। আমি তো বেসিক্যালি ওর চেয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়র। ও যখন সিরিয়ালে অভিনয় করে তখন আমার ‘খোকাবাবু’ সুপারহিট। তখন আমি সিরিয়াল দেখতাম না। সরি মিমি, তখন তোমাকে ‘ফলো’করা হয়নি। তার পর ‘খোকা ৪২০’সুপারহিট হয়। তখনও মিমির ‘বাপি বাড়ি যা’ছবিটা আমার দেখা হয়নি। ওকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি, যার জন্য টুইটারে ফলো করি।

ক্ষোভ ঝেড়ে নায়িকা আরো বলেন, ‘আমার একটি মার্সিডিজ গাড়ি, তিনটা বাড়ি এবং অন্য আরও অনেক সম্পত্তি- এসব কি মিমিকে ফলো করে করেছি। আমার মনে হয়, এসব কিছু হ্যান্ডেল করার জন্য আমি যথেষ্ট পরিণত। শুধু মিমি কেন, অনেকেই আমার সম্পর্কে অনেক কিছু বলেছে। তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমি নিজেকে জানি। ভক্তরা যতক্ষণ আমার সঙ্গে আছেন, ততক্ষণ আমি কিছুই ভয় করি না।’

উল্লেখ, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে শুভশ্রী গাঙ্গুলীর প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পর টালিউডের আরেক সুপারস্টার মিমি চক্রবর্তী এসে জোটে রাজের জীবনে। সেই থেকে মিমি-শুভশ্রী যুদ্ধ শুরু। সুযোগ পেলেই তারা একে অন্যের দিকে ছুঁড়ে দেন কথার গুলি। তাতে একজন আহন হন, অন্যজন পান আনন্দ। এভাবেই চলছে তাদের যুদ্ধ। এ যুদ্ধের শেষ কোথায় সেটাই এখন দেখার।