খােলা বাজার২৪।।বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭: যেভাবে বিয়ে
২০১৫ সালের কথা। রাফসান আহসানের সঙ্গে পরিচয়ের আগে আমার একটা রিলেশনশিপ ছিল। আমাদের বিয়ের তিন মাস আগে সম্পর্কটা ভেঙে যায়। ব্রেকআপের পর মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। তখনই রাফসানের সঙ্গে আমার পরিচয়। বিয়ের প্রস্তাব আসে ওর বাসা থেকেই। বিয়েটা সম্পূর্ণ ওর ফ্যামিলি, বিশেষ করে ওর মায়ের জন্য করা। ওর ফ্যামিলি খুবই ভালো। ১ অক্টোবর আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ঠিক এক বছর আমরা একসঙ্গে থাকি। কিন্তু এরপর আমি আর থাকতে পারছিলাম না। আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না ওর সঙ্গে থাকা।
বিচ্ছেদের কারণ
আমাদের দেশের মেয়েরা অকারণে বিচ্ছেদ চায় না। যখন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, তখন কিছুই করার থাকে না। যেভাবেই বিয়েটা হোক না কেন একটা সুন্দর সংসারের আশা করেছিলাম। আর দশটা মেয়ের মতোই ঘর করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি। রাফসানও যে চেষ্টা করেনি তা নয়।
তৃতীয় কোনো ব্যক্তি?
তৃতীয় ব্যক্তি বলতে রাফসান আমার মাকে বোঝাতে চেয়েছে। কিন্তু এটা তার ভুল ধারণা। আমি পরিষ্কার করে বলছি। অনেকেই জানেন, রাফসান নামে এক নির্মাতাকে বিয়ে করেছি। কিন্তু আপনি রাফসানের কয়টা কাজ দেখেছেন? বিয়ের পর থেকেই আমি আমাদের বাসায় ছিলাম। রাফসানও আমাদের বাসায় থাকত। একটা সময় খেয়াল করলাম, কাজের প্রতি ওর মনোযোগ নেই, উদাসীন, অলস টাইপের। সংসার চালাতে হতো আমাকে। এই সমাজে একজন স্ত্রীর একার পক্ষে সংসার চালানো বেশ কঠিন। ওর কিন্তু যোগ্যতা আছে, ইচ্ছে করেই কাজ করে না। আমার মাও চাইতেন রাফসান কাজে মনোযোগী হোক। মনোযোগী করার অনেক চেষ্টা করেছি। ও কিভাবে যেন সারা দিন কাটিয়ে দেয়। মাসের পর মাস কাটিয়ে দেয় কোনো কাজ ছাড়া। মা এসব নিয়ে কিছু বললে তাঁর সঙ্গেও অশোভন আচরণ করত। আমার পরিবারে শুধু মা আছেন। তাঁর অসম্মান তো আমি মেনে নিতে পারি না।
কাগজে-কলমে বিচ্ছেদ
গত বছর অক্টোবরে বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছিল। নভেম্বরেই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মিডিয়ায় এসেছে কিছুদিন আগে। এ বছরের আগস্টে অফিশিয়ালি ডিভোর্স পেপারে সাইন করি। আমি চাইনি এসব খবর দিয়ে মিডিয়ায় আলোচনায় আসতে। কিন্তু সত্যি চাপা থাকে না, সবাই জেনে গেল।
আর এখন?
কাজের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছি আগেই। ঈদে আমার অভিনীত নাটক ‘শ্যাওলা’ বেশ প্রশংসা পেয়েছে। এ রকম ভালো কাজের অফার পেলে করব। এখন শুটিং করছি অনন্য মামুনের ছবি ‘বন্ধন’-এর। বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছে আমার। পৃথিবীর সব দেশ ঘুরে দেখতে চাই। প্রতি মাসেই কোথাও না কোথাও যেতে চাই। সর্বশেষ গিয়েছি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ও কলকাতায়। এবার যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি ভারতের গোয়া, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে।