খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৭: এবার নীরবতা ভাঙলেন হলিউডের অভিনেত্রী সালমা হায়েক। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন তিনিও। তাঁর অভিযোগ, প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের দিকেই! কেবল যৌন হয়রানি নয়, সালমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন ওয়াইনস্টিন!
বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র ‘ফ্রিদা’য় কাজ করার সময় এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হন সালমা হায়েক। নিউইয়র্ক টাইমসে নিজেই বিশাল একটি কলাম লিখেছেন সালমা হায়েক। গত ১২ ডিসেম্বর তা প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম ছিল ‘হার্ভি ওয়াইনস্টিন ইস মাই মনস্টার টু।’
এর আগে ৫০ জনেরও বেশি নারী ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। গত অক্টোবরের শুরু থেকে আসতে থাকা প্রতিটি অভিযোগের পর একই বক্তব্য দিয়েছেন এই প্রযোজক। তাঁর ভাষ্য, প্রতিটি শারীরিক সম্পর্কই হয়েছে সম্মতির ভিত্তিতে। তাই একে যৌন হেনস্তা বলা যায় না।
সেই ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে এবার কলম ধরলেন অভিনেত্রী খোদ সালমা হায়েক। তিনি জানিয়েছেন, ‘ফ্রিদা’ ছবিতে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন ওয়াইনস্টিন। কথা না শোনায় সালমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।
২০০২ সালে মুক্তি পায় ‘ফ্রিদা’। বিশ্বখ্যাত চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলোর জীবনকে কেন্দ্র করে ওই ছবি নির্মিত হয়। মেক্সিকান ওই শিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেন সালমা হায়েক। একাধিক ব্যক্তি ওই চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন। তাঁর মধ্যে সালমা হায়েকও ছিলেন। ওই চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে মিরাম্যাক্স মুভিজ। ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হচ্ছেন হার্ভি ও তাঁর ভাই বব।
সালমা জানান, হার্ভি ওয়াইনস্টিন চাইতেন তিনি (সালমা) আরো খোলামেলা অভিনয় করুক। মিরাম্যাক্সের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই সালমা হায়েককে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন ওয়াইনস্টিন। কথা না শুনলে চলচ্চিত্রটি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেন ওয়াইনস্টিন।
ফ্রিদা ছয়টি অস্কার পুরস্কার জিতে নেয়। সালমা হায়েক হন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী।
বিবিসি জানিয়েছে, ওয়াইনস্টিনের মুখপাত্র হলি বেইর্ড এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসে গত ৫ অক্টোবর হলিউড প্রযোজক হার্ভি ওয়াইনস্টিনের যৌন হয়রানি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশ ট্যাগ ‘মি টু’ লিখে নারীর প্রতি হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধের ডাক দেওয়া হয়।