খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার,, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭: তরুণ-তরুণীদের অত্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিম জং হিউন। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। এমনকি বাংলাদেশেও তরুণ-তরুণীদের গায়কের তালিকায় অন্যতম ছিলেন কিম। সেই কিম চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তবে স্বাভাবিক কোনো উপায়ে নয়। এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তিনি নাকি হতাশা আর অতিরিক্ত মানসিকচাপের কারণে আত্মহত্যা করেছেন!
দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনহ্যাপ বার্তাসংস্থা জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় সিউলে অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরে কিমের বড় বোন তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর আগে কিম তার বোনকে ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন “this is my last farewell” এই লেখা লিখে এসএমএস পাঠানোর পর তার বোন তড়িঘড়ি করে পুলিশ পাঠান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি কিমের। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই জানা গিয়েছে৷ তবে এর পিছনে কি কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী পুলিশ জানায়, যে বাসা থেকে কিমের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে তরল বাদামি রংয়ের একটি ফ্রায়িং পেন পাওয়া গেছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জং হিউন ছিলেন একজন মেধাবী সঙ্গীত শিল্পী, গীতিকার এবং নৃত্যশিল্পী। তিনি ২০০৮ সালে এসএম এন্টারটেইনমেন্ট গঠিত বয় ব্যান্ড শাইনিতে যোগ দেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ভিষণ্নতায় ভুগছিলেন।
অক্টোবরে তিনি একটি গান রচনা করেন। গানটিতে অন্তত ২০ বার ‘বিষণ্ণ’ শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসিবে জংহিন জানান, তিনি অনিদ্রায় ভুগছিলেন। যেকারণে তিনি ওইদিন যা ঘটেছে তা ডায়রিতে লিপিবদ্ধ করেছেন।
এই সংঙ্গিত শিল্পীর মৃত্যুতে ভক্তদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশি শত শত তরুণী ফেইসবুকে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন।
সূত্র: স্পুটনিক