খােলা বাজার২৪। রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭: টিভি ধারাবাহিক সুলতান সোলেমানের খুররম চরিত্রের কন্ঠ দিয়ে আদৃত হওয়া সঙ্গীতা চৌধুরী পারফর্মিং আর্টের নান্দদিক শাখা নাচ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তিনি সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। গ্ল্যামার জগতের বিভিন্ন শাখায়ই রয়েছে তার অবাধ বিচরণ। তবে তাকে বেশি আকর্ষণ করে বড় পর্দা। তিনি ইতোমধ্যে আয়না, আমাদের অধিকার এবং ডুব ছবিতে অভিনয় করেছেন। ধ্রুব হাসানের দাহ কলি নামে একটি ছবিতেও তিনি কাজ করছেন বলে জানালেন। তিনি বলেন, ‘আমি মূলত বড় পর্দাতেই থিতু হতে চাই। তবে আমার নাট্যাঙ্গন ছেড়ে নয়।’
৮৮ সালে নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠানে নাচের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। জানালেন, সাড়ে তিন বছর বয়সে প্রথম শ্রেণি পাস করেছেন। বলতে গেলে জন্ম নেওয়ার অল্প কিছু পরেই তার জীবনাযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। কর্ম জীবনে এসে প্রধানচর্চার বিষয় হয়ে গেছে অভিনয়। পারফর্মিং আর্টের এই শাখাটিকে সৃজনশীলতার মাধ্যমে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে কন্ঠচর্চার জন্য অপরিহার্য অনুশীলন হলো আবৃত্তি। তিনি শুধু আবৃত্তির শিল্পীই নন, আবৃত্তি নিয়ে শিশু একাডেমিতে শিক্ষকতাও করেছেন। উপস্থাপনায়ও রয়েছে তার সমান দক্ষতা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করা সঙ্গীতা বর্তমানে এমপিল করছেন। পেশাগতভাবে তিনি একজন শিক্ষক এবং নাট্যকেন্দ্রের একজন সদস্য। বর্তমানে তিনি বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকসহ অনেকগুলো খণ্ড নাটক বা এক ঘন্টার নাটকে কাজ করছেন। তার এ পর্যন্ত ২৫টি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করা হয়ে গেছে।
সঙ্গীতা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যা কিছুই করি না কেন, আমার শেষ ঠিকানা অভিনয়। এটাকে আমি বাদ দিতে চাই না। আমার রক্তের সঙ্গে মিশে আছে অভিনয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার অভিনয় গুরু তারিক আনাম খান।’
তিনি বলেন, ‘গ্ল্যামার জগতের এই বিস্তৃত অঙ্গনে আমাকে কখনো কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন।’
তিনি জানান, বাংলার শাস্ত্রীয় নৃত্যে এবং গৌড়িয় নৃত্যে তালিম নিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত নৃত্য শিল্পী ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায় ও র্যাসেল প্রিয়াংকার কাছ থেকে। তিনি বলেন, ‘আমি গৌড়িয় নৃত্যে পিএইচডি করতে চাই।’ ইতোমধ্যেই তিনি নৃত্য, আবৃত্তি ও সঙ্গীতে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন নয় বার। ধ্রুব সঙ্গীতেও তার দক্ষতা রয়েছে বলে জানালেন।