Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements


খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,১১ডিসেম্বর ২০১৮ঃ  সন্তানকে সঠিকভাবে বড় করে তুলতে চাই আলাদা পরিচর্যায়। এজন্য সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।নয়তো সন্তানের মানসিক বিকাশ সঠিক হবে না। এমনকি বাবা মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্বও বেড়ে যেতে পরে। তাই শৈশব থেকে আপনার সন্তানের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। সন্তানের সবচেয়ে ভালো বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুন। গবেষকরা মনে করেন নিম্নোক্ত পাঁচটি বাক্য বললে আপনার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ও মধুর হবে। 

আমি তোমাকে ভালোবাসি 
আমেরিকার পিউ গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকদের মতে এই বাক্যটি সন্তান ও অভিভাবকের মধ্যে সম্পর্ক মধুর করার অন্যতম শক্তিশালী বাক্য। বাবা মা যখন সন্তানকে ‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি’ এই বাক্যটি শোনাবে তখন সন্তানেরও বাবা মায়ের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ বেড়ে যাবে। পৃথিবীতে সবচেয়ে আপনজন হলো বাবা মা সন্তানের মধ্যে এই বিশ্বাস গড়ে ওঠবে। তাই সন্তানকে বলুন আপনি তাকে পৃথিবীর অন্য সবার চেয়ে বেশি পছন্দ করেন, ভালোবাসেন।

তোমাকে ধন্যবাদ
সন্তানকে ভালো কাজের জন্য, ভালো আচরণ ও ভালো ফলাফলের জন্য ধন্যবাদ দিন। আপনি তাকে ধন্যবাদ দিলে সে অন্যদের ধন্যবাদ দেবে। ধন্যবাদ দেয়া সাধারণত ভদ্রতা ও নম্রতা। সন্তান যেন নম্রতা ও ভদ্রতার মধ্যে দিয়ে বড় হতে পারে সে শিক্ষা দিন।

চলো পড়ি
জীবনকে সফল, সুন্দর ও উজ্জ্বল করার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তাই ছোট থেকে আপনার সন্তানকে বই পড়ায় উৎসাহিত করুন। কেবল বই আপনার সন্তানের ভাবনার জগত খুলে দেবে। সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে আপনিও বই পড়ুন। তাকে নিয়ে লাইব্রেরিতে যান, মননশীলভাবে সময় কাটান। এভাবে সন্তানের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আরো মধুর ও সুদৃঢ় হবে এবং পরস্পরের প্রতি পরস্পরের ভালোবাসা জন্মাবে।

মানুষ মাত্রই ভুল
সন্তানকে ছোট থেকে ‘মানুষ মাত্রই ভুল’ এই বাক্যটির সঙ্গে পরিচিত করে তুলুন। মানুষ ভুল করবে এটা স্বাভাবিক। কোন মানুষ নিখুঁত নয়। যেকোনো কাজে যেকোনো মানুষের ভুল হতে পারে। ভুল হলে তাকে অতিমাত্রায় শাসন করবেন না। কেননা অতিমাত্রায় শাসন করলে সন্তান বিগড়ে যেতে পারে, মানসিকভাবে প্রচন্ড আঘাত পেতে পারে। বরং তাকে ভুল শুধরে নেয়ার কৌশল শিখিয়ে দিন। বার বার চেষ্টা করতে বলুন। 

আমি দুঃখিত
পরিবারে আপনি যদি কোনো ভুল করে ফেলেন তাহলে ক্ষমা চান, ‘দুঃখিত’ তথা ‘সরি’ শব্দটি বলুন। কেননা আপনাকে দেখে আপনার সন্তান শিখবে। সন্তান যদি ভুল করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিন। পরিবারের অন্য কোনো সদস্য ভুল করলে তাকেও ক্ষমা করুন। এভাবে ক্ষমার মধ্যে দিয়ে পরিবারে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। সন্তানকে সুন্দরভাবে বড় করে তুলুন।