Wed. Aug 27th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 খােলাবাজার২৪ বুধবার  ২৮ আগস্ট, ২০২০:মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও জাতির পিতার সঠিক ইতিহাস প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপনের। যেখানে ৬৫ হাজার ৭শ’ বিদ্যালয়ের জন্য কেনা হবে ১৩০ কোটি টাকার শিশুদের পাঠ উপযোগী বই।

সম্প্রতি লেখক-প্রকাশকদের প্রতিবাদের মুখে বই বাছাই প্রক্রিয়া স্থগিত হলেও ৩০ কোটি টাকা খরচায় ৮টি বই কেনার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৩টি বই কেনার খরচ ২০ কোটি ৭০ লাখ ৮৬ হাজার ৪শ’ টাকা। এ তিনটি বই যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদক নাজমুল হোসেনের প্রকাশনা সংস্থা জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড ও স্বাধিকা পাবলিকেশন্সের।কিন্তু অতিরিক্ত দাম দেখানো, মেধাসত্ব চুরিসহ নাজমুলের জালিয়াতির বিষয়ে ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ অবস্থায় বই কেলেঙ্কারির কথা অস্বীকার করছে না মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয়কে অন্ধকারে রেখেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সবকিছু করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। সাংবাদিক নাজমুল হোসেনের বই কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিবে বলেও জানান তিনি।  জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার কমিটি ৩০ থেকে ৩৫টি বইয়ের তালিকা দিয়েছে। এখান থেকে আমাকে বাইপাস করে ৮টি বই কেনা হয়েছে। এমনকি আমাকে না জানিয়ে টেন্ডারও করা হয়। তাই, কেলেঙ্কারির কথা জানার পরপরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।কারা আপনাকে বাইপাস করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টেন্ডার মন্ত্রণালয় না ডিপি করে। সংসদীয় কমিটি তদন্ত করছে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এগুলো মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের বই, আরেকখানে যাবে কিভাবে? মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় চাইলে আমরা টাকা দিতে পারি, কিন্তু এটা কিভাবে সেখানে গেছে আমার জানা নেই।মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের কাছে তাদের আদান-প্রদান করা কিছু চিঠিপত্র আছে। তারা কিছু ডকুমেন্টস দিয়েছে, যেখানে তারা বই ছাপানোর অনুমোদ পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তারপরও আমরা এটি গ্রহণ করিনি। আমাদের ও সংসদীয় কমিটির তদন্তে কি আসে, তা যাচাই বাছাই করে আমরা ব্যবস্থা নিব।