Fri. Oct 17th, 2025
Advertisements
                                                       কথিত সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন ও সজিব আকবর
খোলাবাজার অনলাইন ডেস্ক : সাইদুর রহমান রিমন নামের এক কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির কথা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। নারী কেলেঙ্কারির পাশাপাশি ফেন্সিডিল ও ইয়াবা’য় আসক্ত সাইদুর রহমান রিমন। দেশ বাংলা নামের ডিক্লিয়ারেশন বিহীন একটি পত্রিকার ভুয়া মালিক সেজে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও চাকরিজীবীদের টার্গেট করে হেনস্তা করার মিশনে নেমেছে।

রিমনের প্রধান সহযোগী আরেক কথিত সাংবাদিক সজিব আকবর। মূলত ফেসবুক কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপপ্রচারে এরা লিপ্ত। এদের নেই কোন নিদিষ্ট অফিস বা পত্রিকাতে কাজের অনুমোদন। বিভিন্ন পত্রিকার নাম ও লোগো ব্যবহার করে এরা নিজেদের মতে করে নিউজ তৈরী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য ছড়িয়ে  সামাজিক হয়রানির ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে রিমন-আকবর চক্র। এ সংক্রান্ত ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ঢাকা প্রতিদিন নামের একটি পত্রিকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগাম ঘোষণাযুক্ত বিজ্ঞাপন আকারে নিউজ করছেন রিমন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রিমন নামসর্বস্ব কয়েকটি পত্রিকার আইডি কার্ড ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন।

অপরদিকে রিমনের আরেক সহযোগী নিজেকে সাংবাদিক সজিব আকবর পরিচয় দিলেও নিজ এলাকায় তিনি চোরা আকবর নামে পরিচিত। সাংবাদিকতাকে পুঁজি করে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ব্লাকমেইল করাই তার কাজ। চোরা আকবর আবার কন্ট্রাক্ট নিউজও করে। মানুষকে হয়রানির করতে প্রতিপক্ষের হাতিয়ার হিসেবে অর্থাৎ ভাড়াটে সাংবাদিক হিসেবে ব্যাপক সুনাম রয়েছে এই আকবরের।

সম্প্রতি একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ও ক্ষমতাসীন দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ তৈরী করে প্রচার করে এই ভাড়াটে সাংবাদিক আকবর। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে সাইবার ইউনিটের লোকজন কাজ করছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও দানবীর খ্যাত ব্যবসায়ী নেতার সুনাম ক্ষুন্ন করার এই অপচেষ্টা জন্য সুধীজন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় নাম সর্বস্ব কার্ডধারী কিছু ভুয়া সাংবাদিক তৈরি করে শক্তিশালী একটা চক্র চালায় এই রিমন-আকবর গং। এ চক্রের সদস্যদের অনেকে মাদক সেবন ও বিক্রি এবং চাঁদাবাজিতে জড়িত।  এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রিমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।

সাংবাদিক নেতাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে তারা রিমন-আকবর চক্রের কর্মকান্ডে বিব্রত বলে জানান। অপর দিকে এদের বিরুদ্ধে নিদির্ষ্ট অভিযোগ থাকা সত্যেও প্রশাসন এদের গ্রেফতার না করায় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে।