
নরসিংদী প্রতিনিধিঃ ঢাকা সিলেট মহাসড়কে রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নে মরজাল গ্রামের ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতায় প্রবাসী শহিদুলের পরিবারের স্থায়ী সম্পত্তি ও তিন পুরুষের পৈত্রিক বসতবাড়ি স্বার্থান্বেষী মহলের কুপরামর্শে মাঠ কর্মীরা তিন তলা বসত বাড়ি এক তলা লিপিবদ্ধ করেন।সরকারের সিদ্ধান্ত ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে একাত্মতা পোষণ করে শত বছরের পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দিতে হচ্ছে প্রবাসী শহিদুল কে। এখন তাকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের পেছনে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ঢাকা সিলেট মহাসড়কে পার্শ্বে মরজাল গ্রামের একসময় প্রবাসী শহিদুলের বাব দাদারা গোলা ভরা ধান আর গোয়াল ভরা গরু ছিল। আজ তিন পুরুষের সব হারাতে হবে ভূমি অধিগ্রহণের কারনে। কিন্তু সেই বসতভিটা স্বার্থান্বেষী মহলের কুনজরে মাঠ কর্মীর তিন তলা ঘরকে এক তলা করে দেন।
স্বার্থন্বেসী মহলের কুপরামর্শে মাঠ কর্মীরা শহিদুল ইসলাম শহিদ এর বশত বাড়ীর ২য় ও ৩য় তলা দেয় নাই। শহিদুলের বিল্ডিংটি দালালদের সাথে চুক্তি করার জন্য তাকে কয়েকবার প্রস্তাব করে থাকে। শহিদুল তাদের কোন প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আজ বশত বাড়ীটির শুধুমাত্র একতালা দেয়া হয়েছে ২য় ও ৩য় তলা দেয়া হয় নাই। এ বিষয়ে তিনি সাবেক জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে দেখা করলে জেলা প্রশাসক মহোদয় তাকে আশস্থ করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহোদয় এটা বশত বাড়ী হিসাবে পাবে মর্মে শহিদুলকে আসস্থ করে। কিন্তু অদ্যাবধি তার কোন সমাধান হয়নি।বিভিন্ন মহল অপ্রয়োজনীয় স্থানে কিছু বিল্ডিং তৈয়ার করে অধিগ্রহণের পরিবেশ নষ্ট করেন। তাদের সাথে শহিদুলের তুলনা করলে সেখানে তার প্রতি অবিচার করা হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। ভূমি হুকুম দখল শাখা ও এক শ্রেণির দালাল চক্রের কারণে শহিদুল আজ অসহায়, তার কান্না দেখার কেউ নেই?
শহিদুল বলেন, ১২/২০২১-২২ নং এল.এ কেসে অধিগ্রহণকৃত মরজাল মৌজার আর,এস ৯৩১৬ নং দাগের ০.৩৭৮১ একর জমি ও ৩য় তলা বিল্ডিং মালিক। ভূমি এবং অবকাঠামো আমার বশত বাড়ী। আমি একজন প্রবাসী। দীর্ঘ ১২/১৩ বছর সৌদী আরব থেকে দেশে আসি এবং আমার প্রবাস জীবনের আয় রোজগার দিয়ে বশত বাড়ীতে ৩য় তলা ভবন নির্মাণ করি এবং আংশিক ভাড়া প্রদান করেছি। আমার বাড়ীটি অধিগ্রহণের অনেক পূর্বে নির্মিত। এবং কয়েকবার ভিডিও করা হয়েছে। আমার সম্পূর্ণ বিল্ডিংটি ভিডিওতে আছে। অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্তকালে মাঠকর্মীগণ অধিগ্রহণ আইনকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে তাদের মনগড়ামত আমার বাড়ীর ২য় ও ৩য় তলা বাদ দিয়েছে। যা আইন সংগত হয়নি এবং ন্যায় বিচারের পরিপন্থী কাজ। অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা থাকলেও এখানে আইনকে প্রধান্য দেয়া হচ্ছে না। আমি অধিগ্রহণে নিয়োজিত কর্মচারীদের কর্মকান্ডে হতাশাগ্রস্থ। আমি সরকারের নিকট ন্যায় বিচার প্রার্থণা করিতেছি। আমার বশত বাড়ীর ২য় এবং ৩য় তলা বাদ দেয়া হলে আমার প্রবাস জীবনের আয় রোজগার ধুলিসাত হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, মহোদয়ের নিকট বিষয়টি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। তিনি সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন মর্মে আশাবাদী।
এসময় তিনি আরো বলেন, যখন মাঠ কর্মীরা লিপিবদ্ধ করতে আমার বাড়িতে আসে তার পর এক শ্রেনীর দালাল ও আমার বাড়িতে আসে তাদের কঁথা মতন আমি রাজি হই নাই দেখে। স্বার্থান্বেষী মহলের কুপরামর্শ আমার তিন তলা বসত বাড়ি এক তলা লিপিবদ্ধ করেন।যারা স্বার্থান্বেষী মহলের লোকজনকে ঐসময় টাকা দিয়েছে বা তাদের কথা রাজি হয়েছে তাদের টা ঠিক হয়েছে। আমি টাকা বা তাদের কথাতর রাজি হই নাই দেখে আমার টা হয় নাই।
সরকারের কাছে আমার দাবি, আমার প্রবাস জীবনে আয় দিয়ে এই বাড়িটি করা। আমার ১২বছরে কষ্টের টাকা দিয়ে বাড়িটি করেছি।আমি যেন সঠিক টা পাই।


