রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৫
মানবাধিকার সংস্থা অধিকার অভিযোগ করছে, গুম বা অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক গুম দিবস পালন উপলক্ষে আজ একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্যে অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব ।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য নিজস্ব কয়েকটি মিলনায়তন ভাড়া দেয়া জাতীয় প্রেসক্লাবের আয়ের একটি অন্যতম উৎস। এখানে প্রতিদিনই কোনও না কোনও অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। তবে আন্তর্জাতিক গুম দিবসের এই অনুষ্ঠানটি আয়োজনের অনুমতি শেষ মুহূর্তে কেন বাতিল করলো প্রেসক্লাব, সে ব্যাপারে কোনও ব্যাখ্যা পর্যন্ত দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করছে আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান অধিকার।
শেষ মুহূর্তে অনুমতি বাতিল করায় নতুন অনুষ্ঠানস্থল না পাওয়ায় অনুষ্ঠানটির পুরো আয়োজন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে ‘অধিকার’ নামে এই এনজিওটি।
সংস্থার সভাপতি সি আর আবরার বিবিসি বাংলাকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এক মাস আগেই লিখিত অনুমতি নেয়া হয় এবং ভাড়া পরিশোধ করা হয়। কিন্তু শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই প্রেসক্লাব জানায়, তারা রোববারের এই অনুষ্ঠান সেখানে আয়োজন করতে দেবে না।
এ ব্যাপারে প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান বলেছেন, নিজস্ব কর্মসূচি থাকায় ওই অনুষ্ঠানের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানটিতে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরবার কথা ছিল।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অধিকার জানায়, গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদেরও কয়েকদিন ধরে টেলিফোনে হুমকি দেয়া হচ্ছিল এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেবার জন্য।
শনিবার বিকেলে ‘ওয়াকি-টকি বহনকারী সাদা পোশাক পরা দুজন মানুষ’ অধিকার কার্যালয়ে গিয়ে সংগঠনের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খানের খোঁজ করেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে গত দশ বছরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কথিত ‘বন্দুক-যুদ্ধে’ প্রায় দু হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু ছাড়াও বহু মানুষ গুম হওয়ার অভিযোগ রয়েছে ।বিবিসি বাংলা।