Sun. Sep 14th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
1দেশে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন এমন ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থীই পড়ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, কিন্তু এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ১০টি মান ‘ভালো’। বাকিগুলোর মান ‘মোটামুটি’, অনেকগুলোর মান ‘খুব খারাপ’। এমন চিত্রই উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের এক জরিপে পাওয়া তথ্যে।

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকাসহ সারাদেশে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে চার লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের একজন সদস্য অধ্যাপক মো: মহব্বত খান বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সব একই মানের নয়। শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা, শিক্ষকের মান, অবকাঠামো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র সবদিক থেকে পার্থক্য রয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টির মান মোটামুটি।তার মধ্যে দশটি ভাল মানের । মঞ্জুরী কমিশনের জরিপে তারা এমন তথ্য পেয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, “বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করার অভিযোগ তারা পেয়েছেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকায় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় অলি-গলিতে ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এগুলোর মান খুব খারাপ।”

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র ক্ষেত্রে একক কোন কাঠামো নেই।বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের ব্যয়কে ভিত্তি করে টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। ঢাকার ধানমন্ডী এলাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: আব্দুর রব বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান, শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা কতটা দেয়া হচ্ছে, শিক্ষকের মান-এসব বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যারয় কর্তৃপক্ষ নিজেরা টিউশন ফি নির্ধারণ করে।এই ফি প্রতি সেমিস্টারে একটা ক্রেডিটের জন্য তিন থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত আছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। এ পর্যন্ত ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাচ্ছে। ২২টি ডিসেম্বরের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মনিনুর রশিদ বলেছেন, বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যারয় খন্ডকালীন শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল।

আইনে বলা আছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করে তার অধীনে কার্যক্রম চালাবে। বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো যাবে না।এটাকে সেবাখাত হিসেবে আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মো: মহব্বত খান বলেছেন, তারা নিয়মিত মনিটর এবং জরিপ করে থাকেন।কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যারয় পুরোপুরি সবাখাত হিসেবে চলছে, এমনটা তারা এখনও দেখতে পাননি। তিনি উদাহরণ তুলে ধরে বলেছেন, ভাল মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য ফি নিয়ে থাকেন। যেটা আইন অনুযায়ী তারা নিতে পারেননা।

অন্যদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বলেছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনাসহ অনেক বিষয় কাজ করে। এগুলোও বন্ধ করা উচিত বলে তারা মনে করেন।