দখোলা বাজার২৪, শনিবার , ১৭ অক্টোবর ২০১৫: কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষ করে তুলতে চার বছর মেয়াদি নতুন একটি প্রকল্পের অনুমোদন চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অব ইলেকশন কমিশন সেক্রেটারিয়েট’ নামের ১৫০ কোটি টাকার ওই প্রকল্পটি অনুমোদন করতে এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইসি সচিবালয়ের উপ-প্রধান মো. আমজাদ হোসেন গত ৮ অক্টোবর পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছেন। মেয়াদ শেষের আট মাস আগে গত জুলাইয়ে ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প থেকে ইউএনডিপি সরে দাঁড়ানোর পর নতুন এ প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২০১২ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া ওই প্রকল্পে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র তহবিল জোগাচ্ছিল। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো নিয়ে পশ্চিমাদের অসন্তোষের মধ্যে দাতারা ওই প্রকল্প থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় বলে মনে করা হচ্ছে; যদিও ইসি বলছে, এই ঘটনা ‘ব্যর্থতার কিছু নেই’। নতুন প্রকল্পে বৈদেশিক সাহায্য পেতে একটি প্রিলিমিনারি ডেভলাপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (পিডিপিপি)-ও করা হয়েছে। চিঠির সঙ্গে ওই পিডিপিপিও পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান। চিঠিতে ইসি জানায়, নির্বাচনে প্রার্থী ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তিগত সহায়তা, মাঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট যোগাযোগ ও জেলা-উপজেলার সার্ভার স্টেশন পরিচালনায় সক্ষমতা বাড়াতে নতুন এ প্রকল্প কাজ করবে। ইসি সচিবালয়ের আওতায় ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি চালাতে চায় নির্বাচন কমিশন।