খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫ : ভারতীয় অস্কার কমিটির জুরির দায়িত্ব পালন শেষে হায়দরাবাদ থেকে সোজা লন্ডন। এদিকে কলকাতা সেজেছে পূজার রঙে। এমন সময়ে তাই নিজের শহরের জন্য মনটা ভীষণ খারাপ কোয়েল মল্লিকের। পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজারে নিয়মিত কলাম লেখেন কোয়েল। পূজার তোড়জোড়ের মাঝেই তার নতুন লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে মঙ্গলবার। সে লেখায় তিনি হায়দরাবাদ থেকে যুক্তরাজ্যে উড়াল দেয়ার বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন। কোয়েল লিখেছেন, “শুটিং করতে করতে মহালয়ার দিন গুনছি। ট্রানজিস্টারে ভোর চারটে কাঁটায় কাঁটায়। শুরু হবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ, এ ছাড়া যেন পুজো অসম্পূর্ণ। চিরকালটা যে এমনই হয়ে এসেছে। তবে এই বছর একটু অন্য ভাবে শুরু হল পুজোর মেজাজ। ভোরে উঠে চণ্ডীপাঠটা আমি ঠিকই শুনলাম। তবে রেডিওয় নয়। ফোনে রেকর্ডিংয়ে লন্ডনে বসে।” লন্ডনবাসের দিনগুলো শুটিং আর ঘোরাঘুরি করে কেটেছে। তার লন্ডন-স্কটল্যান্ড ভ্রমণের বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় বিহ্বলতার প্রকাশ থাকলেও সবশেষে স্মরণ করেছেন কলকাতার কথা। “এই সময় আমার শহর হয় সব চেয়ে সুন্দরী। চারিদিক ঝলমল করে আলোয়। পশ্চিম বাংলার যত শিল্পী আছেন কত দিন আগে কলকাতায় চলে আসেন প্যান্ডেল তৈরি করতে। কী অপূর্ব তাঁদের হাতের কাজ। বিভিন্ন থিম পুজোর রূপই আলাদা। সারা বিশ্ব থেকে লোক ভিড় করে মেতে ওঠে এই উৎসবে।” আর এমন দিনের জন্যই সারা বছর অপেক্ষায় থাকার আক্ষেপ ঝড়ে পড়লো কোয়েলের কণ্ঠে। “কত আড্ডা, মজা, আনন্দ আর মন প্রাণ দিয়ে মাকে ডাকা। ঢাক, ধুনুচি, নতুন জামাৃ উপোস করে অঞ্জলি দেওয়া আর তার পর সন্ধ্যারতি। রাত জেগে দালানে বসে চুটিয়ে আড্ডা। ঘুম মানে সময় নষ্ট।” লেখার শেষে মেয়ে ভক্তদের উপদেশ দিতে ভুললেন না। “নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি বান্ধবীদের, গুছিয়ে সাজগোজ করুন। তবে পুজোর ক’দিন শাড়ির সঙ্গে আরামদায়ক জুতো পরতে ভুলবেন না। স্নিকার্স পরলেও ক্ষতি নেই। নতুন জুতোর কামড় খেতে নিশ্চয়ই চাইবেন না। তা হলে মণ্ডপে ঘোরার মজাই যে মাটি।