Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

38খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৫: দেশে সিনেমা হতো। একদিকে ভারত অন্যদিকে পাকিস্তান মাঝখানে বাংলাদেশের সিনেমা মাথা উঁচু করেই দাঁড়িয়ে ছিল। অধঃপতন আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়গুলোকে চিবিয়ে খেয়েছে, সিনেমার অধঃপতনের কথা একটু বেশী করেই বলি। হয়ত বলতে ভাল লাগে তাই।
কোনো সর্বনাশ, অধঃপতন নিয়ে আমরা ভাবিত, দুঃখিত তা আমার মনে হয় না। বরং নিজ নিজ স্বার্থ ঠিক থাকলে সব ঠিক আছে ভাব দেখিয়ে সময় কেটে যাচ্ছে সবারই। নিত্য সবাই দেখছে, অসংখ্য অপদার্থদের পিছনে জড়ো হয়ে হে হে হি হি করছে অগুনতি গুরুত্বপূর্ণরা। এমন সময়, কদাকার কাণ্ড-কারখানা হতাশার সলতেটাকেই শুধু উস্কে দেয়।
তার ভিতরে থেকেও যারা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখবার প্রাণান্ত চেষ্টায় মশগুল থাকেন, থাকতে পারেন তাঁরাই সময়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান। ‘রান আউট’ আলাদা একটা গল্প বলার চেষ্টা। একই সাথে পরিচালক চেয়েছেন ছবিটা দেখতে সব ধরনের দর্শক ছবি ঘরে আসুক। এটাকেই সাহসী চেষ্টা মনে হয়েছে। মনে হয়েছে দর্শকের প্রতি পরিচালকের অগাধ বিশ্বাস রয়েছে এবং নিজেও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।
আশার কথা, প্রতিকূলতার তোয়াক্কা না করে বহুজন আন্তরিক হয়ে ছবি নির্মাণ করে চলেছেন। অনেক ছবি দেশের বাইরে প্রশংসিত হয়েছে, পুরস্কারও জিতে এনেছে। এর পাশাপাশি সবচেয়ে জরুরি, ছবি ঘরে দর্শক ফিরিয়ে আনবার চেষ্টায় চলচ্চিত্র নির্মাণ।
তন্ময় তানসেনদের মত পাঁচ-দশজন সে চেষ্টায় কোমর বেঁধে নেমে পড়লে চলচ্চিত্রের দূর্দশা ঘুঁচে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। সজল চলচ্চিত্রের ভাল নায়ক হতে পারে। মৌসুমী নাগ চমৎকার। তারিক আনাম খান ও প্রবালকে ভাল লেগেছে। ছবির মন্দও দু-চারটে বলা যায়। বলব কেন? রোজ অনেক মন্দকে বেশ তো মেনে চলেছি।
ভালবেসে, কষ্ট স্বীকার করে একজন ছবি বানিয়েছে, সেটা দেখতে মানুষ সিনেমা ঘরে যাচ্ছে সেটা অনেক বড় প্রাপ্তি, সাফল্য। ভুল ধরে বাহাদুরী ফলিয়ে লাভ কি?