খোলা বাজার২৪ ॥সোমবার, ৯ নভেম্বর ২০১৫: ইমরুল কায়েসের ফিরে আসা ৭৬। নাসির হোসেনের লড়াকু ৪১। সাব্বির রহমানের ৩৩। মুশফিকুর রহিমের ২১। বাংলাদেশের স্কোর বলতে এই। মূলত ইমরুলের ইনিংসটার ওপর ভর করেই তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। তাতে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের সামনে ২৪২ রানের জয়ের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা। টস হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪১ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
২০১৪ সালের মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকায় ফিফটি করেছিলেন ইমরুল। ইনিংসটি ছিল ৫৯ রানের। এর পর খেলা সাত ইনিংসে স্কোর যথাক্রমে ৯, ১, ১, ৫, ২, ২, ৫। সব মিলিয়ে ২৫ রান। বিশ্বকাপের পর বাদ পড়েন। তার পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন এবার। একাদশে এসেছেন। এবং প্রথম সুযোগেই ফিফটি করেছেন ইমরুল। সৌম্য সরকারের ইনজুরির সুযোগে তিনি দলে এসেছিলেন। একাদশে ইমরুল জায়গা করে নেন সাকিব আল হাসান প্রথম ম্যাচ খেলে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ায়। তবে ইমরুলের মনে অপূর্ণতা থাকতেই পারে। সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন তিনি। আর চমৎকার খেলতে থাকা ব্যাটসম্যানের দায়িত্বও ছিল ইনিংসটাকে আরো বড় করার। ফেরার গল্পটাও তাতে পূর্ণতা পেতে পারতো।
বিশ্বকাপে শেষ তামিম ইকবাল ও ইমরুল বাংলাদেশের ওয়ানডে ইনিংস ওপেন করেছেন। মেলবোর্নে ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ৩৩ রানের জুটি ছিল তাদের। এবার জুটিটা আরো ভালো করার ইঙ্গিত ছিল। তামিম তিনটি বাউন্ডারি মেরে নিজের ওপর থেকে চাপ ঝেড়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু টিনাশে পানিয়াঙ্গারা এদিন চমৎকার বল করছিলেন। ৩২ রানে তাই ভাংলো তামিম ও ইমরুলের জুটি। ১৯ রান করে পানিয়াঙ্গারার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন তামিম।
লিটন দাস ছক্কা দিয়ে ইনিংস শুরু করে আক্রমণের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও পানিয়াঙ্গারার শিকার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ রান করে। পর পর দুই ম্যাচেই ব্যর্থ লিটন। মাহমুদ উল্লাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইমরুল সঙ্গী পাচ্ছিলেন না। তৃতীয় উইকেটে ৩২ রানের জুটি হয়েছে। কিন্তু মাহমুদ উল্লার অবদান সেখানে মাত্র ৪। লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার তাকে তুলে নিয়েছেন। মাহমুদ উল্লাও ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। তাকে নিয়ে তিনটি ক্যাচ নিয়েছেন উইকেটকিপার চাকাভা।
সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে ফিরে গেছেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিম। ২১ রান করেছেন তিনি। ইমরুলের সাথে তার জুটিটা ৪৮ রানের। ক্রেমারের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন মুশফিক।
মুশফিকের বিদায়ের পর সাব্বির রহমানের সাথে ইমরুলের একটি জুটি গড়ে ওঠার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। চমৎকার খেলে যাচ্ছিলেন ইমরুল। ফেরার গল্পকে পূর্ণতা দিতে পারতেন সেঞ্চুরি করে। সেই সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু শন উইলিয়ামসকে একটি ছক্কা মারার পরের বলে আবার তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। ৮৯ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৭৬ রান করে ফিরেছেন ইমরুল। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান জুটি সাব্বির ও নাসির মিলে ৪২ রান তুলেছেন বোর্ডে। তাদের কাছে প্রত্যাশা ছিল বেশি। কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে চাকাভার চতুর্থ ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন সাব্বির। ৪০ বলে ৩৩ রান করেছেন তিনি।
নাসির ও মাশরাফির মধ্যে ৩৮ রানের জুটি হয়েছে। মাশরাফি করেছেন ১৩ রান। তবে ৫ রানের মধ্যে দ্রুত তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় শেষ দিকে বাংলাদেশের আরো বেশি রান হওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। নাসির ৫৩ বলে ৪১ রান করেছেন। পানিয়াঙ্গাআর ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ক্রেমার ও মুজারাবানি।