খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ : শেষ হয়ে যাচ্ছে ২০১৫ সাল। ভালোমন্দ মিলিয়ে কেটে গেল পুরো একটি বছর। এ বছর অনেক তারকা বিয়ে করেছেন। আবার অনেকের বিচ্ছেদও হয়েছে। কেউ কেউ গোপনে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন আবার কেউ প্রকাশ্যে। অনেকের বিচ্ছেদ গোপনে অনেক আগে হলেও প্রকাশ পেয়েছে এ বছর। চলুন দেখে নিই ২০১৫ সালে আলোচিত বিচ্ছেদগুলো।
মনির খান শিমুল-নাদিয়া আহমেদ
ছোটপর্দার জনপ্রিয় দুই তারকা মনির খান শিমুল ও নাদিয়া আহমেদ। সাবলীল অভিনয়ের মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মনির খান শিমুল। অন্যদিকে নাচ ও অভিনয় সমানতালে চালিয়ে দর্শকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন নাদিয়া আহমেদ। যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে শিমুল-নাদিয়া ঠিক তখনই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর দীর্ঘদিন প্রেম করে ২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেছিলেন মনির খান শিমুল ও নাদিয়া। কিন্তু তাঁদের এই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। বিয়ের অনুষ্ঠান তাঁরা ঢাকঢোল পিটিয়ে করলেও বিচ্ছেদ একদম গোপনে করেছিলেন।
চলতি বছরের এপ্রিলে নাদিয়া আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। আমি এখন নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। বিয়ে-সংসার নিয়ে ভাবছি না।’ ঠিক কতদিন আগে বিচ্ছেদ হয়েছে জানতে চাইলে নাদিয়া বলেছিলেন, ‘বছরখানেক আগে’। ঠিক কত তারিখে বিচ্ছেদ হয়েছে প্রশ্ন করলে নাদিয়া বিষয়টি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি গুণী এই নৃত্যশিল্পী। অন্যদিকে শিমুলও নাদিয়ার মতোই মুখে তালা দিয়ে বসে আছেন। এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি তিনি।
হৃদয় খান-সুজানা জাফর
সংগীতশিল্পী হৃদয় খান ও মডেল-অভিনেত্রী সুজানা জাফরের গেল বছরের ১ আগস্ট পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। সবাইকে জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা দুজন। কিন্তু বিয়ে হওয়ার মাত্র আট মাস পর গত ৬ এপ্রিল তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এ খবর অবশ্য তাঁরা গোপন রাখেননি। বিচ্ছেদের রাতে হৃদয় তাঁর ফ্যানপেজে ‘হৃদয় খান’স ক্লাবে’একটি ভিডিওবার্তা আপলোড করেন। তাতে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা নিশ্চিত করেন তিনি। হৃদয় গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা না বললেও সুজানা বলেছিলেন। পারস্পরিক বোঝাপড়া না হওয়ার কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয় বলে জানান তিনি। এদিকে বিয়ের আগে হৃদয় ও সুজানার বন্ধুত্ব ছিল চার বছর। বিয়ের আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুজানাকে ভালোবাসেন এ কথা বহুবার বলেছেন হৃদয়। তাই হৃদয়-সুজানা ভক্তরা ধরেই নিয়েছিলেন যে তাঁরা সুখী দম্পতি হবেন। কিন্তু এই ধারণা সত্যি হয়নি।
আজমেরী হক বাঁধন-মাশরুর হোসেন সিদ্দিকী
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাশরুর হোসেন সিদ্দিকীর সঙ্গে আজমেরী হক বাঁধনের বিয়ে হয়েছিল ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। বিয়ের পাঁচ মাস পরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। এ প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনকে বাঁধন বলেছিলেন, ‘আমার আর মাশরুরের আলাদা থাকার বিষয়টা আমি চাইনি কেউ জানুক। তবে আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, কাছের মানুষরা অনেকে বিষয়টা জানত। আর খবর গোপন রাখার পেছনে শুধু একটি কারণই ছিল। তা হলো, আমি চাইনি আমার মেয়ের মনে এর প্রভাব পড়ুক। কারণ, আমাদের আলাদা থাকার কারণ গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হলে আমার মেয়ে সায়রাকে অনেকেই এ বিষয়ে প্রশ্ন করত। যেহেতু সায়রা বয়সে এখন অনেক ছোট, এই বিষয় ওর মেনে নিতে কষ্ট হতো। সায়রার বয়স এখন চার বছর। চলতি বছরেই সায়রা স্কুলে ভর্তি হয়েছে। ওর স্কুলের ভর্তির জন্য মূলত আমি অপেক্ষা করছিলাম।’ তবে স্বামীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়েছে কি না জানতে চাইলে এ বিষয়ে এখনো বাঁধন সরাসরি কথা বলেননি। শুধু বলেছেন তাঁরা আলাদা থাকছেন। এদিকে বাঁধনের বিচ্ছেদ অনেক আগে হলেও বছরের একদম শেষে এসেই তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন তিনি।