Sun. May 4th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

23খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫: আর মাত্র কয়েকটা দিন। তার পরই নতুন আরেকটি বছর ২০১৬। তাই এখন বছর শুরুর আগে পুরোনো বছরের নানা স্মৃতি রোমান্থনের ঘনঘটা চারপাশে। ২০১৫ সালে বলিউড যেমন পেয়েছে প্রচুর নতুন মুখ, তেমনি হারিয়েছেও বেশ কিছু জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীকে। ২০১৫ তে হারিয়ে যাওয়া সেই সব বলিউডি তারকাদের আরেকবার মনে করা যাক
সৈয়দ জাফরি
গত ১৫ নভেম্বর মস্তিস্কের রক্তক্ষরণে মারা যান ৮৬ বছর বয়সি এই অভিনেতা। ১৯৬৮ সালে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। তাঁর অভিনীত জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘রাম তেরি গঙ্গা ম্যায়লি’, ‘হেনা’, ‘শতরঞ্চ কি খিলাড়ি’, ‘দিল’। এ ছাড়া জেমস আইভরি, রিচার্ড অ্যাটেনবরোর মতো বিশ্বমানের পরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন সৈয়দ জাফরি। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মানও পেয়েছেন তিনি। সিনেমার পাশাপাশি মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য তিনি ‘অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।
সাধনা শিবদাসানি
গত ২৫ ডিসেম্বর মারা যান অভিনেত্রী সাধনা শিবদাসানি। ১৯৫০ থেকে ৭০-এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্রের গ্ল্যামারস অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। ১৯৫৫ সালে রাজকাপুরের ‘শ্রী ৪২০’ ছবিতে কোরাস গার্লের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ ঘটে তাঁর। এরপর ‘পরখ’, ‘প্রেমপত্র’, ‘উয়ো কন থি’, ‘ওয়াক্ত’, ‘মেরা সায়া’, ‘হাম দোনো’, ‘এক ফুল দো মালি’, ‘ছোটে সরকার’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। অভিনেত্রী ছাড়াও ফ্যাশন আইকন হিসেবেও বলিউডে পরিচিত ছিলেন তিনি।
আদেশ শ্রীবাস্তব
২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মারা যান জনপ্রিয় এই সংগীত পরিচালক আদেশ শ্রীবাস্তব। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত আদেশের বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। ১৯৯৩ সালে ‘কন্যাদান’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর ‘বাবুল’, ‘অপহরণ’, ‘ভগবান’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘রেহনা হ্যায় তেরে দিল মে’-এর মতো একাধিক ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করে জনপ্রিয় হন তিনি। তাঁর কণ্ঠে গাওয়া বিখ্যাত গানগুলো হলো ‘সাবা সাবা’, ‘চলি চলি ফির চলি চলি’, ‘সোনা সোনা দিল মেরা সোনা’ ইত্যাদি।
আসরাফ-উল হক
চলতি বছরের গত ১৭ ফেব্র“য়ারি মারা যান বলিউডের এই প্রতিভাবান অভিনেতা। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে দুরারোগ্য অসুখে ভুগে মারা যান তিনি। দিল্লি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার ছাত্র আসরাফ-উল হক অভিনীত জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘দিওয়ার’, ‘পান সিং তোমার’, ‘ফুকরে’। তাঁর শেষ অভিনীত ছবি ছিল ‘মাঝি-দি মাউন্টেন ম্যান’। চলচ্চিত্র ছাড়া টেলিভিশনের পর্দাতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
রবীন্দ্র জৈন
বলিউডের প্রবাদপ্রতীম এই সংগীত পরিচালক মারা যান এ বছরের ৯ অক্টোবর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের জনপ্রিয় এই সংগীত স্রষ্টা ‘রাম তেরি গঙ্গা ম্যায়লি’, ‘হেনা’, ‘চোর মচায়ে শোর’, ‘গীত গাতা চলা’র মতো ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। তা ছাড়া টেলিভিশনের একাধিক পৌরানিক ধারাবাহিকেও সংগীত সংযোজনা করেছেন তিনি।
সুধা শিবপুরি
গত ২০ মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই অভিনেত্রী। থিয়েটারের মাধ্যমেই অভিনয়ে হাতেখড়ি তাঁর। বিয়ের পর স্বামী ওম শিবপুরির সঙ্গে মুম্বাইয়ে চলে আসেন তিনি। টিভিতে ‘কিউকি সাস ভি কভি বহু থি’ সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর অভিনীত অন্য টিভি সিরিয়ালগুলো হলো, ‘কিস দেশ মে হ্যায় মেরা দিল’, ‘কসম সে’ ইত্যাদি। এ ছাড়া ‘ দ্য বার্নিং ট্রেন’ এবং ‘মায়া মেমসাব’ ছবিতেও অভিনয় করেন তিনি। ২০১৩ সাল অসুস্থ হয়ে পড়েন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
সঞ্জিত বেদি
ছোটপর্দার একজন জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জিত বেদি। গত ২৩ জুন মারা যান এই অভিনেতা। সঞ্জিত বেদি অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিয়ালগুলোর হল, ‘দিল মিল গায়ে’, ‘থোড়ি সি জমিন থোড়া সা আসমান’, ‘ক্যায়া হোগা নিম্মো কা’, ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’।
মোহন ভান্ডারি
গত ২৫ সেপ্টেম্বর মারা যান ছোটপর্দার অভিনেতা মোহন ভান্ডারি। দীর্ঘদিন ধরে ব্রেন টিউমারে ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। ১৯৮০ এর দশকে টেলিভিশনের পর্দায় অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন মোহন ভান্ডারি। তাঁর অভিনীত টিভি সিরিয়ালগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘কর্জ’, ‘পরম্পরা’, ‘জীবন-মৃত্যু’, ‘গুমরাহ’, ‘মিলে সুর মেরা তুমহারা’। এ ছাড়া ‘মঙ্গল পান্ডে-দা রাইজিং’ এবং ‘পেহেলি’-র মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।