খোলা বাজার২৪,শনিবার, ২ জানুয়ারি ২০১৬: অভিষেকের বছরেই আলোচনায় উঠে এসেছেন ঢাকাই ছবির অভিনেত্রী পরীমনি। একটা দুটো নয়, গেল এক বছরে তাঁর ছয় ছয়টা ছবি মুক্তি পেয়েছে। আর এরই মাধ্যমে বছরে সর্বাধিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির অভিনয়শিল্পীর তালিকায় উঠে এসেছে পরীমনির নাম। এ ক্ষেত্রে ঢাকাই ছবির শাকিব খানকেও পেছনে ফেলেছেন নতুন প্রজন্মের এই অভিনেত্রী। গত বছর শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির সংখ্যা হচ্ছে ৫টি।
এদিকে, এক বছরে তাঁর অভিনীত সর্বাধিক ছয়টি ছবি মুক্তি পাওয়াতে অনেক আনন্দিত পরীমনি। এ বিষয়ে তাঁর রোমাঞ্চিত হওয়ার অনুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যিই আমি আনন্দিত যে, আমার চলচ্চিত্রে অভিষেকের বছরই এতগুলো ছবি মুক্তি পেয়েছে। এবং ছবিগুলো মোটামুটি আলোচনাও ছিল। আমার জন্য ২০১৫ সালটা সৌভাগ্যের বছর।’
২০১৫ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে পরীমনি অভিনীত প্রথম ছবি শাহ আলম মণ্ডল পরিচালিত ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তি পায়। এরপর এক বছরে তাঁর আরও পাঁচটি ছবি ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘পাগলা দিওয়ানা’, এস এ হক অলিকের ‘আরও ভালোবাসবো তোমায়’, ওমর ফারুকের ‘লাভার নম্বর ওয়ান’, রকিবুল আলম রকিবের ‘নগর মাস্তান’ ও রওশনারা নীপার ‘মহুয়া সুন্দরী’ মুক্তি পায়।
পরীমনি জানিয়েছেন, মুক্তিপ্রাপ্ত সব ছবি ঘিরেই দর্শকের আগ্রহ ছিল।’ তাঁর কথা, ‘দর্শকের আগ্রহ না থাকলে পরিচালক বা প্রযোজক আমাকে নিয়ে এক বছরে এতগুলো ছবি নির্মাণও করতেন না, মুক্তিও দিতেন না।’
পরীমনি আরও বলেন, ‘ঢাকার চলচ্চিত্রে বিদায়ী বছরের সেরা তিনটি ছবির তালিকা তৈরি করা হলে এর মধ্যে আমার অভিনীত ছবির নাম অবশ্যই থাকবে।’
গেল বছরের এই সাফল্যের জোয়ারে নতুন বছরে সর্তকতা নিয়েই চলচ্চিত্রে হাঁটবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
পরীমনি বলেন, ‘নতুন বছরে দর্শকের কথা মাথায় রেখেই কাজ করতে চাই। সব ধরনের ছবি এখন আর করতে চাই না। পরিচালক, প্রযোজক কিংবা দর্শকের আমার ওপর একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। সেই আস্থার প্রতি সম্মান রেখেই কাজ করব।’
এদিকে, গেল বছরের শুটিং শেষ হওয়া দুটি ছবি অপূর্ব রানার ‘পুড়ে যায় মন’ ও ‘মন জানে না মনের ঠিকানা’ এখন মুক্তির মিছিলে।
পরীমনি জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে ওয়াকিল আহমেদের ‘কত স্বপ্ন কত আশা’ ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে। শিগগিরই শুরু হবে গিয়াস উদ্দীন সেলিমের ‘স্বপ্নজাল’ ও তারেক সিকদারের ‘দাগ’ ছবির কাজ।