খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৩ জানুয়ারি ২০১৬: আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা। নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার পাশাপাশি মাঝেমধ্যে গানের মডেলও হতে দেখা গেছে তাঁকে। নতুন বছরের শুরুতে সুজানা অভিনীত নতুন একটি গানের ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। গানের ভিডিও প্রসঙ্গ ও বিগত বছরে নিজের নানা দিক এবং নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন সুজানা।
নতুন বছরের শুরুটা কেমন কাটল?
আলহামদুলিল্লাহ, এক কথায় অসাধারণ। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনটা আমি অটিস্টিক বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। তাঁদের সঙ্গে খেলাধুলা করেছি, খাওয়া-দাওয়া করেছি। এটাই আমার কাছে নববর্ষ উদ্যাপনের আনন্দ।
সামনের দিনগুলো নিশ্চয়ই ভালো কাটবে
তেমনটাই আশা করছি। বছরের শুরুতেই আমার খুব চমৎকার একটা গানের ভিডিওচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। গানটি গেয়েছেন আমার প্রিয় শিল্পী ন্যান্সি। অনেকেই এই গানে আমার অভিনয়ের খুব প্রশংসা করেছেন। এ সপ্তাহে নতুন একটি নাটকের কাজ শুরু করছি। এতে আমি রিয়াজ ভাইয়ের বিপরীতে অভিনয় করব। আরও বেশ কিছু ভালো কাজের ব্যাপারে কথাবার্তাও হচ্ছে। মনে হচ্ছে, ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে বছরটা কাটবে।
আর কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
কিছুদিন হলো সমাজসেবামূলক কাজ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমি যুক্ত হয়েছি। প্রতিষ্ঠানটি অটিস্টিক বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করে। এ বছরে এই প্রতিষ্ঠানের হয়ে আরও সিরিয়াসলি কাজ করব। অটিস্টিক বাচ্চাদের নিয়ে আমার অনেক বড় একটা স্বপ্ন আছে। সেই স্বপ্নের কাছাকাছি এ বছর পৌঁছে যেতে চাই।
২০১৫ সালটা আপনার জন্য কেমন ছিল?
২০১৫ সালকে আমি ঘৃণা করি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে বছর ছিল। এর জন্য পুরোপুরিভাবে দায়ী হৃদয় খান। জীবনেও আমি এই বছরের কথা ভুলতে পারব না। ২০০২ সালে আমি মিডিয়াতে কাজ শুরু করি। এই ১৩ বছরে এ ধরনের কোনো বাজে ঘটনা আর কখনোই ঘটেনি। বছরের মাঝামাঝিতে হৃদয়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমি ভালোর দিকে যেতে থাকি। কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ করেছি। সামনে এর ধারাবাহিকতা সবাই দেখতে পাবেন।
শুধু হৃদয় খানেরই দোষ? আপনার নিজের কি কোনো দোষ ছিল না?
২০১৫ সালে আমার জীবনের যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার জন্য শতভাগ দায়ী হৃদয়। আমি অল্প কথায় পুরো ব্যাপারটা সবার কাছে পরিষ্কার করতে চাই আমার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়ার আগে হৃদয়ের লাইফস্টাইল কেমন ছিল, মিডিয়ার সবাই তা খুব ভালো করেই জানেন। সম্পর্ক হওয়ার পর তাঁর জীবনের যে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছিল তা সবাই দেখেছেন। আমার সঙ্গে বিয়ের আগে সে বাবা-মাকে ছেড়ে একা থাকত, আমি তাঁকে পরিবারমুখী করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারিনি। আমি যদি সমস্যাই হয়ে থাকি, তাহলে আমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কেনো হৃদয় তার বাবা-মা, ভাইবোনের সঙ্গে থাকতে পারছে না? বিষয়গুলো সবাই খুব ঠান্ডা মাথায় ভাবলে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২০১৫ সাল থেকে কি কিছু শেখার আছে?
অবশ্যই। আমি অনেক কিছু শিখেছি। ২০১৫ থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হচ্ছে, নিজেকে কাজ নিয়ে ব্যস্ত রাখো। কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলে সব খারাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।