খোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার এস এম আসলাম তালুকদার মান্না ১৭ই ফেব্র“য়ারী ২০০৮সালে ভক্তদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন। আশির দশকে নতুন মুখের সন্ধানে বাংলা চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে টাঙ্গাইল বেড়ে উঠা এস এম আসলাম তালুকদারের। রুপালি পর্দায় পর্দাপনের পর পরিচিতি পায় মান্না নামে।
প্রতি বছরের ১৭ই ফ্রেব্র“য়ারী আসলেই যেন মান্নার স্মৃতিকে মনে করে দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল গুলোতে মান্নার স্বরণে প্রচার করা হয় মান্না অভিনীতি ছবি।
কিন্তু দীর্ঘ ৪বছর ধরে মান্না অভিনীত শেষ ছবি ‘লীলামন্থন’আটকে আছে সেন্সার বোর্ডে। ছবিটির পরিচালনা করেছেন জাহিদ অভি।
বাংলা শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান বলেন, ছবিটি কেন সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে আমি বলতে পারব না। তবে মান্নার স্মৃতিকে আটকে না রেখে রিলিস করে দেওয়া আমার মনে হয় ভালো। মান্না ভক্তদের উদ্দেশ্যে যেন ছবিটি মুক্তি দেওয়া হয় সেই জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
চিত্রনায়িকা মৌসুমি বলেন, ছবির গল্পটা অনেক ভালো। মুক্তযুদ্ধ ভিত্তিক একটি কাহিনী নিয়ে নির্মান করা হয়েছিল ‘লীলামন্থন’। তবে কি কারণে আটকে আছে আমি জানি না। আর আটকে থাকার তো কোন কারণও আমি দেখছি না।
‘লীলামন্থন’-এর পরিচালক জাহিদ হোসেন অভি বলেন, ‘ছবিটি নিয়ে আমি ১১ বছর ধরে যুদ্ধ করছি। মান্না উৎসবের সময় সেন্সর বোর্ডের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল, ছবিটিকে সেন্সরশিপ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন করতে হতে পারে। এখন আমি কিছু অংশ বাদ দিলে হয়তো ছবিটি মুক্তি দিতে পারব।’
ছবিটির নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছবিটি আমি শুরু করেছিলাম ২০০৫ সালে। যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধের ছবি তাই এক-দুই লটে ছবির কাজ শেষ করা সম্ভব ছিল না। ছবির কাজ চলাকালীন সময়ে মান্না ভাই মারা যান। তখন ছবির প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ। ২০১১ সালে ছবিটি শেষ করে সেন্সরে জমা দেই। তার পর থেকে শুরু হয় নতুন ঝামেলা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে আবারও সেন্সর বোর্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদে ঘুরতে ঘুরতে গত পাঁচ বছর পার করেছি।’
উল্লেখ্য, ছবিটিতে নায়ক মান্নার বিপরীতে অভিনয় করেছেন দুই নায়িকা মৌসুমী ও পপি।