খোলা বাজার২৪, শনিবার, ২ এপ্রিল ২০১৬: ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল চারটা বেজে কুড়ি। চিত্রশালার ৪ নাম্বার গ্যালারীর সামনে বাড়ছে দর্শনার্থীদের আনাগোনা। ততক্ষণে আড্ডাটা জমে উঠেছে। আড্ডার মধ্যমনি সঙ্গীতশিল্পী কনকচাঁপা। তাকে ঘিরেই এতো আয়োজন। না গান শোনাবেন না তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সবার গোপনে ছবি এঁকেছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী চরিত্রের আড়ালে যে এমন নিমগ্ন এক চিত্রশিল্পীর অস্তিত্ব লুকিয়ে ছিলো কে জানতো? আজ তাই এক চিত্রশিল্পী কনক চাঁপাকে ঘিরে উৎসব।
এতে সামিল হতে হাজির হয়েছেন আব্দুল্লাহ আবু সাইয়ীদ, চিত্রশিল্পী কনকচাঁপা চাকমা, সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌসি রহমান, শম্পারেজাসহ আরও অনেকে।
পাঁচটা নাগাদ ফিতা কেটে প্রদর্শনীর দ্বার উন্মুক্ত করেন অতিথিরা। হলজুড়ে শোভা পাচ্ছে কনকচাপার হাতে আঁকা বাহারী সব ছবি। সব মিলিয়ে শ’খানেক। ছবির নামগুলোও চমৎকার। হৃদয় আমার নাচেরে, দ্বিধা বিভক্ত প্রহর, কাঁটা ও ফুল, আগুনের পরশমনি।
ছবিগুলো একেকটি একেক সময় আঁকা। কোনটি দশ বছর আগে আবার কোনটি সাম্প্রতিক। ছবিগুলো দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত আব্দুল্লাহ আবু সাইয়ীদ, চিত্রশিল্পী কনকচাপা চাকমা, ফেরদৌসি রহমান। সবাই জানিয়েছেন নিজেদের মুগ্ধতার কথা। ভালো-লাগার কথা। কিন্তু যার প্রদর্শনী তার কেমন লাগছে?
কনকচাপা বাংলামেইলকে জানালেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। আজকে আমার একটা স্বপ্নের তিন। ছবি আঁকছি চল্লিশ বছর ধরে। কিন্তু প্রদর্শনী আয়োজনের পরিকল্পনা করেছি বছর চারেক আগে।’
জীবনের প্রথম প্রদর্শনী বলে কথা। তাই কোন কিছুরই কমতি রাখেননি তিনি। নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছেন। নিজের ছবিগুলো থেকেই বেছে বেছে সেরা ছবিগুলো দিয়েই সাজিয়েছেন প্রদর্শনীটি।
প্রদর্শনীটি উৎসর্গ করেছেন প্রয়াত চিত্রশিল্পী ও নির্মাতা খালিদ মাহমুদ মিঠুকে। স্বামীকে উৎসর্গ করা অনুষ্ঠানে শুরু থেকেই ছিলেন চিত্রশিল্পী কনকচাঁপা চাকমা।
দুই কনক চাঁপা এক ফ্রেমে..
প্রদর্শনীর শেষ দিকে হাজির হয়েছিলেন গুনী নির্মাতা অভিনেতা আফজাল হোসেন, বিপাশা হায়াত।