Sat. Jun 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

35kখোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৪ মে ২০১৬: সারা বিশ্বে তোলপার ফেলে দেয়া কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ভারতের একাধিক শীর্ষ দৈনিক। তাদের পক্ষে যুক্তিও আছে। যেখানে মুস্তাফিজের শেষ দুই ম্যাচের আগে পুনের কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং বলেছিলেন আমরা মুস্তাফিজকে খেলার দাওয়া বের করেছি। সেই ঘটনার পর পরই টানা দুই ম্যাচে উইকেটশুন্য থকার পর এবার ভারতীয় মিডিয়া পারা আর ক্রিকেটকুলে যেন আনন্দের সুবাতাস বইছে।
আইপিএলের নিলাম থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে যখন কিনল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, তখন চোখ কুঁচকেছিল অনেকেরই। সেই নির্বাচন যে কতটা সঠিক ছিল, পরবর্তী ম্যাচগুলিতে তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কাটার মাস্টার। পরের ন’টি ম্যাচে মাত্র ২০৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১৩টি উইকেট। তাঁর কাটারের হদিশ পাচ্ছিলেন না তাবড় ব্যাটসম্যানরা। সেই মুস্তাফিজুরের রহস্য কি এ বার ফাঁস হয়ে গেল? আইপিএলের শেষ দু’টি ম্যাচে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান কিন্তু সেই প্রশ্ন তুলে দিল। আনন্দবাজার
পুণের বিরুদ্ধে কাটারমাস্টার ৪ ওভারে দিয়েছিলেন ২৬ রান। উইকেটবিহীন সেই স্পেল থেকে বিশেষ রান না উঠলেও উইকেটও পাননি ফিজ। এমনকী পুণের ব্যাটসম্যানদের তাঁকে খেলতে যে বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে, তা-ও মনে হয়নি। প্রশ্নটা আরও বড় করে সামনে এল এর পরের ম্যাচে। দিল্লির ব্যাটসম্যানরা মুস্তাফিজুরের ৪ ওভার থেকে নিলেন ৩৯ রান। ভারতের অনূর্ধ্ব উনিশের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ একাই নিলেন ২৬ রান। আর এর পরেই উঠল সেই অমোঘ প্রশ্ন— মুস্তাফিজুরের রহস্য কি তবে ফাঁস হয়ে গেল?
রহস্য ফাঁসের সম্ভাবনা আরও বাড়ল পুণে কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কথায়। তাঁর দাবি, “মুস্তাফিজকে কী ভাবে খেলা যায়, সে বিষয়ে স্টিভ স্মিথ আমাদের কিছু টিপস দিয়েছিল। আমাদের ব্যাটসম্যানরা সেই টিপস মেনে চলে অনেক উপকার পেয়েছে।” দিল্লি ম্যাচের পর ক্রিস মরিসও বলেন, “আমরা মুস্তাফিজের বোলিং আতস কাচের নীচে ফেলে দেখেছি। আশা করি এর পর আর ওকে খেলতে সমস্যা হবে না।”
মুস্তাফিজের প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ নেই কারওরই। তাঁর বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন বিশ্বের তাবড় ক্রিকেটাররা। তাই তিনি পরের ম্যাচ থেকেই নতুন অস্ত্র নিয়ে ফিরে আসবেন, সেই আশায় বুক বাঁধছে তার অসংখ্য ভক্তকূল। কারণ মুস্তাফিজের মতো বোলারদের হাতে একটামাত্র অস্ত্র থাকবে, তা হতেই পারে না।