খোলা বাজার২৪, শনিবার, ০৪ জুন ২০১৬ : বাংলাদেশের ভারত সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার ১৬ বছর পর এই প্রথম ভারত সফর করার উপর বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল। অথচ এই সফরের জন্য সম্মতি জানিয়েছিল খোদ বিসিসিআই, কিন্তু এখন বলছে অন্য কথা।
চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একটি টেস্ট খেলতে সম্মতি জানিয়েছিল ভারতীয় বোর্ড। বিসিবি’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সে কথা জানিয়েছিল বিসিসিআই কর্তারাই। ২০১৪ সালের জুনে বাংলাদেশ সফরে নির্ধারিত ২ টেস্টের সিরিজ থেকে একটি টেস্ট বাদ দিয়ে সেই টেস্টটি চলতি বছরের আগস্টে আয়োজনের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল আইসিসি ঘোষিত ফিউচার ট্যুর প্রজেক্টও (এফটিপি)।
জুনে জিম্বাবুয়ে সফরে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে, জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৪ টেস্টের সফরসূচি ইতোমধ্যে ঘোষিত হয়েছে। অক্টোবরে ভারতের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ টেস্ট ৫ ওয়ানডে এবং নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ টেস্টের সিরিজও বিসিসিআই চূড়ান্ত করে ফেলেছে। কিন্তু আগামী অগস্টে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে বিসিসিআই।
ভারত সফর যে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে, তা মেনে নিয়ে বিসিবির সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, “এ বছরের বাকি সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। নির্দিষ্ট সময় বের করতে পারা কঠিন বলে মনে করছে বিসিসিআই। আমাদের জন্য কী ভাবে সময় বের করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই। সফরের জন্য মাস নয়, নির্দিষ্ট করে দিন উল্লেখ করতে ভারতীয় বোর্জের কাছে দাবি জানিয়েছি আমরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কোনও কিছু জানায়নি বিসিসিআই।”
এখনো আইসিসির এফটিপিতে অগস্টের শেষ সপ্তাহ এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ফাঁকা। আগামী ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহও ফাঁকা। তবে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ২ টেস্ট,৩ ওয়ানডে এবং ২ টি-২০ খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফরসূচি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্রকাশ করায় আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর ছাড়া আপাতত ভারত সফরের উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বিসিবিও।
আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী ২০১৭ সালের ফেব্র“য়ারির প্রথম ২ সপ্তাহ অবশ্য স্লট ফাঁকা আছে ভারতের। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এফটিপির বাইরে আর কোন স্লট নেই ভারতের। তবে এখনই নিরাশ হওয়ার পক্ষপাতী নন বিসিবি। সুজন বলেন, “সাত-আট দিনের একটা স্লট পেলে তাতেই একটা টেস্ট খেলে দেশে ফিরে আসা সম্ভব। এ বছর না হোক এই ক্রিকেট মরশুমে তা বের করতে পারবে বিসিসিআই, এমনটাই আশা করছি আমরা।