খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৭ জুন ২০১৬: বেজায় ক্ষেপেছেন সালমান খান। তিনি যা করেন, তাতেই যেনো সমালোচনার ঝড় ওঠে! অথচ অন্য অনেকের ক্ষেত্রেই নাকি এমনটি হয় না। এ ধারণা সালমানের।
আসছে রিও অলিম্পিকে ভারতের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে সালমানের নাম ঘোষণার পরপরই বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শুধু তাই নয়, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এ নিয়েই উত্তেজিত হয়েছেন সালমান। প্রশ্ন তুলেছেন, একইরকম সমালোচনা কেনো ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার এবং অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে হলো না?
সালমান তো বিনোদন জগতের মানুষ, খেলাধুলার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এজন্যই মূলত খেলাধুলার জগতসেরা আয়োজন অলিম্পিকের এবারের আয়োজনে ভারতের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তাঁর অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন হয়েছে। এমনকি মিলখা সিং-এর মতো ভারতের নামী ক্রীড়াবিদও নির্বাচকদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। আর লন্ডন অলিম্পিকের ব্রোঞ্জজয়ী যোগেশ্বর দত্ত সালমানকে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা দেয়ার ঘন্টাখানেক পরেই এ নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে টুইট করেন।
চারদিক থেকে এতো এতো সমালোচনা সইতে না পেরে চটেছেন সালমান। নিজের পক্ষ নিতে গিয়ে এবার তিনি আঙুল তুলেছেন শচীন এবং এ আর রহমানের দিকে। তাঁর প্রশ্ন, তাঁদেরকে ভারতের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব দেওয়ার সময় কেনো কেউ প্রতিবাদ করল না?
সম্প্রতি, ‘হিন্দুস্তান টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালমান বলেন, ‘শচীন এবং রহমান শুভেচ্ছা দূত হওয়ার সময়ও মিডিয়ার এমন প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিৎ ছিলো। সেটা কেনো হলো না? তাঁরাও কেনো আমার মতো মিডিয়ায় সমানভাবে আলোচিত হলো না? তাঁদের ক্ষেত্রেও তো, একজন খেলার সঙ্গে যুক্ত নন, অন্যজন শুধু একটি খেলা খেলেছেন। শুধু আমার সঙ্গেই কেনো এমন করা হয়?’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে মামলা চলছে বলেই আমাকে নিয়ে এমনভাবে লিখতে হবে? কিন্তু অনেক রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধেও তো মামলা আছে আদালতে। তাঁরা তো বহাল তবিয়তে আছেন! তাঁরা যদি পদত্যাগ করেন, তবে আমিও আমার পদ ছেড়ে দিতে রাজি আছি। দুর্নীতি, ধর্ষণের মতো মামলা নিয়েও কীভাবে তাঁরা নিজ পদে এখনও অধিষ্ঠিত আছেন?’