খোলা বাজার২৪, সোমবার, ১১ জুলাই ২০১৬: মঙ্গলের মেরু অঞ্চলের তুলনায় মধ্য-অক্ষাংশের অঞ্চলগুলোতে রাতের বেলায় প্রায়ই মাটি কার্বন ডাইঅক্সাইড বরফ দিয়ে ঢাকা থাকে, এমন তথ্য পেয়েছে নাসা’র মার্স রিকোনেইস্যান্স অরবিটার। তবে, গ্রীষ্মে ও শরতে এটি সাধারণত দেখা যায় না বলে জানা গেছে।
মার্স রিকোনেইস্যান্স অরবিটার হচ্ছে মঙ্গলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণায় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পরিচালিত একটি মহাকাশযান।
লাল এই গ্রহের কিছু ধূলিপূর্ণ স্থান সারা বছর ধরে রাতে এতটাই শীতল থাকে যে, তা অনেকটা শীতকালের মেরু অঞ্চল বা গ্রীষ্মে গ্রহের বিষুব রেখার আশপাশের কিছু অঞ্চলের মতো হয়ে যায়, নাসার নতুন সন্ধান্নে এমন তথ্য পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে আইএএনএস। এইসব অঞ্চলের পৃষ্ঠ রাতে এতটাই ঠাণ্ডা হয়, যার ফলে সেখানে অনেক পাতলা জমাট কার্বন ডাইঅক্সাইড বরফের স্তর পাওয়া যায়।
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড একটি প্রধান উপাদান। এর মেরু অঞ্চলে বরফের নিচে বিশাল পরিমাণে জমাট কার্বন ডাইঅক্সাইড চাপা পড়ে আছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন গ্রহের ভৌগলিক অবস্থা নিয়ে ‘জার্নাল অফ জিওগ্রাফিক্যাল রিসার্চ: প্লানেটস’ নামের একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন নাসা’র জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরি-এর সিলভিয়ান পিকে। তিনি বলেন, তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে যায়, এটি পৃষ্ঠের উপর থাকা বায়ুমণ্ডলকে জমানো শুরু করে। আপনি একবার ওই তাপমাত্রায় পৌঁছে গেলে, আপনি আর শীতল হবেন না, আপনি স্রেফ জমে যাবেন। এমনটা মেরু অঞ্চলেও ঘটে, রাতের বেলা নিম্ন-অক্ষাংশের অঞ্চলের চেয়ে পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেশি শীতল থাকে না।
গ্রহটির থারসিস, অ্যারাবিয়া, এলিসিয়াম অঞ্চল্গুলোতে থাকা মধ্য ও নিম্ন-অক্ষাংশের এলাকাগুলোর রাতের বেলার তাপমাত্রা প্রায় সারা বছরই কার্বন ডাইঅক্সাইড জমাট বাধাঁনোর জন্য যথেষ্ঠ। এই তিনটি এলাকার সবগুলোই আয়তনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের চেয়ে বড়। তবে, এলাকাগুলো রাতে যতটাই ঠাণ্ডা থাকে, দিনে ততটাই উত্তপ্ত থাকে বলে জানিয়েছেন পিকে।
২০০৬ সাল থেকে নাসা মঙ্গলে এই মহাকাশযান দিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে।