খোলা বাজার২৪, বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬: আসন্ন ঈদুল আযহা সামনে রেখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে জমে উঠেছে দেশী গরুর হাট। অন্যান্য বছরে দেশী গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুর আমদানি হলেও এই বছর দেশী গরু ব্যাপক আমদানী হওয়ায় ভারতীয় গরু চোখে পড়ছেনা ।
এদিকে পশুর হাটগুলোতে গরুর ব্যাপক আমদানী হওয়ায় সেই তুলনায় বাজারে ক্রেতা মিলছেনা। ফলে আশানুরুপ মূল্য পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন, গরু ব্যবসায়ী ও চাষীরা।
গরুর ফড়িয়া ব্যবসায়ী বারকোনা গ্রামের আব্দুল গফুর বলেন, যে হারে গরুর আমদানি দেখা যাচেছ হাটগুলোতে সেই হারে ক্রেতা নেই। ফলে অনেক কমদামে বিক্রি করতে হচ্ছে গরুগুলো। এতে ব্যাবসায়ীরা চরম ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে।
উপজেলার ফুলবাড়ী পৌরসভাসহ আমডুঙ্গির হাট, বারাই হাট, আটপুকুর হাট ও মাদিলাহাটে নিয়মিত বসছে পশুর হাট। ফুলবাড়ী পৌরহাটের ন্যায় গ্রামের হাটগুলোতেও দেশী গরুর ব্যপক আমদানি দেখা গেছে।
হাট ইজারাদার আবুল হাসান জানায়, এই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভরশীল। বর্তমানে আমন রোপণ করার পর কৃষকের হাতে টাকা নেই। যার ফলে ঈদুল আযহাতে গরুর চাহিদা কমে গেছে। ফলে হাটগুলোতে গরুর ব্যাপক আমদানি হলেও তেমন বেচাকেনা হচ্ছে না।
গরু চাষী কাঁটাবাড়ী গ্রামের মেহেদী হাসান উজ্জল বলেন, সে সারা বছর পশু পালন করে ঈদুল আযহাতে বাজারজাত করে। কিন্তু এই বছর বাজারে গরুর চাহিদা না থাকায় আশানুরুপ দাম পাচ্ছেন না। ফলে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে পশু পালন করেছেন সেই অর্থই তার ঘরে উঠছে না। একই কথা বলেন, পশু পালনকারি চকসাহাবাজপুর গ্রামের আকসের আলী, রাজারামপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক, একই এলাকার শহিদুল ইসলাম।
এদিকে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কোরবান আলী বলেন, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করায় ভারতীয় গরু পার হতে পারেনি। যার ফলে দেশী গরুর দাম কিছুটা হলেও পাচ্ছে কৃষকেরা। এদিকে ব্যবসায়ী মহলেরা বলেন, গত বোরো মৌসুমে কৃষকেরা বোরো ধানের ন্যয্য মুল্য না পাওয়ায় সেই প্রভাব পড়েছে বাজারে। ফলে পশুর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাবসাও ভাটা পড়েছে। পোশাকের দোকানগুলোতে ক্রেতা নাই বললেই চলে। সবমিলে ঈদের আনন্দ নেই কৃষকের ঘরে।