Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

3kখোলা বাজার২৪, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬: ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ে জামাইকে এসিড মারলো শশুর, শাশুরী, সম্বন্ধি সহ আরও দুই জন। বৃহস্পতিবার রাত ৮.৩০মিনিটের সময় জমিদার পাড়ার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আলেম(৩৫) কে এসিড মারে তার শশুর বাড়ির লোকজনেরা। ঘটনা সত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও শহরের জমিদার পাড়ার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে আলেম বিয়ে করে পঞ্চগড় জেলার বোদা থানার নীলার মেলা গ্রামের জসিম উদ্দিনের কন্যা জরিনা বেগমকে। সংসার তাদের ভালোই চলছিলো। এরই মাঝে তাদের সংসারে আসে তিনটি সন্তান। জীবন জীবিকার তাগিদে আলেম ঢাকায় বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। মাঝে মধ্যে এসে স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ খবরও রাখেন এবং যতটুকু পারেন পরিবারের জন্য অর্থ যোগান দেন। স্ত্রীর চাহিদা আকাশ চুঙ্গি হওয়ায় আলেমের আয়ের অর্থে অপারগতা প্রকাশ করে পরকিয়ায় জরিয়ে পরে। এরই জের ধরে স্বামী স্ত্রীর মাঝে চলতে থাকে দন্দ। আলেমের স্ত্রী জরিনাকে পরকিয়াতে সম্মতি দিতে থাকে জরিনার বাবা, মা ও ভাই। এই নিয়ে স্ত্রী, শশুর, শাশুরী, সম্বন্ধির সঙ্গে আলেমের চলে বিবাদ। তারই ধারাবাহিকতায় আলেমকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে তার শশুর বাড়ির লোকজন। আলেম ঢাকা থেকে বুধবার নিজ বাড়িতে এসে শশুর বাড়িতে যায় স্ত্রী জরিনাকে আনার জন্য। কিন্তু এখানেই বিধিবাম। জামাইকে দেখে শাশুরী জামাই আদর করে পরিকল্পিত ভাবে খাবারের জন্য হাত মুখ ধুয়ে আসতে বলে। অন্যদিকে, শশুর বোতলে এসিড ভরিয়ে জামাই হাত মুখ ধোয়ার সময় মাথায় এসিড ঢেলে দেয়। এই সয়ম জামাই গরম কিছু টের পেয়ে সরে দাড়ালে শরিরের এসিড নিক্ষেপ করে শশুর। যন্ত্রণায় জামাই চিৎকার শুরু করলে শশুর বাড়ির লোকজনতো দূরের কথা আশে পাশের লোকজনও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি। তাই জামাই আলেম কোন রকম জানে পালিয়ে এসে গাড়িতে করে দূত ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই ব্যাপারে কর্তব্যরত ডাক্তার শওকত আলী আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, এই রুগীর বার্ণের % ১৫-১৮ কিন্তু আমাদের এই হাসপাতালে বার্ণ ইউনিট ও ডাক্তার না থাকায় আমরা রুগীকে প্রথামিক চিকিৎসা দিয়ে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ অথবা রংপুর মেডিক্যাল কলেজে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আলেমের বৃদ্ধ মা জয়গুণ বেগম এর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর রংপুর নিবেন কিনা? উত্তরে বলেন, বাবা আমরা গরিব মানুষ, এই হাসপাতালের বাহিরে গিয়ে চিকিৎসা করার ক্ষমতা আমাদের নাই। এই ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, আমি খবর পেয়ে আমার পরিদর্শক ও ফোর্স সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে এই ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। করলে যথাযর্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।