যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে সরকারের দেয়া স্বল্পমূল্যের ভর্তুকির ১০ টাকা কেজি চাল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা ও দলীয় করনের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতারর প্রভাব খাটিয়ে দেয়া হয়েছে ডিলার নিয়োগ। ফলে অনেক ইউপি চেয়ারম্যানরা জানেনা ডিলার নিয়োগ ও চাল বিতরনের খবর। ফলে চাল পাচ্ছেন না অনেক স্বামী পরিত্যক্তা, অস্বচ্ছল, বিধাব, পুঙ্গ ও বৃদ্ধরা।
কায়বা পুটখালি লক্ষনপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কতিপয় জনপ্রতিনিধিরা কারসাজি করে তুলছেন স্বল্প মূল্যের চাল। নিয়ম বর্হিভ’তভাবে মাসে ৩০ কেজি স্বল্প মূল্যের চাল পাচ্চেন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের নিকট আত্মীয়রা। সত্যতা পেয়ছেন প্রশাসন। লক্ষনপুরে চাল বিতরনে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সংঘর্ষে আহত হয় ৮জন। এ যেন মগের মুল্লকে পরিনত হয়েছে শার্শা বেনাপোল। স্থানীয়দের অভিযোগ শার্শা ব্যাহত হচ্ছে প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। এর পরিত্রান চান তারা।
লক্ষনপুর শার্শা ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন শান্তি বলেন,তাকে না জানিয়ে ডিলার নিয়োগ সহ চাল বিতরন করা হয়েছে। তিনি ইউপি মেম্বরদের মাধ্যমে জন স্বার্থে অবশেষে চাল বিতরনে মাঠ তদারকি করছেন। অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন তিনি। সমন্বয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান চেয়ারম্যান শান্তি।
পাকা বাড়ী ও জমিজমা আছে তারা পাচ্ছে চাল। অথচ ১৬ থেকে ২০ বছর ধরে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ও অস্বচ্ছলরা পাচ্ছেন না চাল। অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। নেই ঘরবাড়ী অসুস্থ্য স্বামী ছোট ২টি বাচ্ছা পরেই জায়গায় থেকে খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে করছেন দীনযাপন কার্ড ও চাল পায়নি তারা। এমন করুন আর্তি পুটখালির কেষ্টপুর গ্রামের অধিকাংশ নারীদের। চাল নেই চুলো নেই, অনেক সময় না খেয়েই চলে রাতদিন। চাল ও কার্ড পায়নি অসহায় বৃদ্ধরা। শেষ বয়েসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ টাকার চাল খেয়ে মরতে চান তারা। বেনাপোল পুটখালি কেষ্টপুর গ্রামে ৪শ অসহায় পরিবারের বাস। এর ৯০ শতাংশই পায়নি কার্ড। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।
ভাঙা চুরা ঘর-নেই মুজুরি খাটার মানুষ-চাল পায়নি তারা-যাদের আছে তারা পাচ্ছেন চাল এমনি অনেক অভিযোগ স্থানীয়দের।
পুটখালি ইউপি চেয়ারম্যান মো: হাদিউজ্জামান বলেন,তিনি মেম্বরদের মাধ্যমে সজাগ দৃষ্টি দিয়ে চালের লিষ্ট করিয়েছেন। ন্যর্য্যমুল্যে ও সঠিকভাবে চাল পাচ্ছেন এলাকার মানুষ। ডিলারদের করা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে স্বল্পমূল্যের চালের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। পুটখালিতে অনিয়ম দর্র্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কোন সুযোগ নেই। সাধারন ও অস্বচ্ছল মানুষের সেবাই কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
কৃষি এলাকা হিসাবে খ্যাত যশোরের শার্শা বেনাপোলে তিন লাখ মানুষের বসবাস। বিধবা স্বামী পরিত্যাক্ত অস্বচ্ছল মানৃুষের সংখ্যাও বেশী। উপজেলায় ৩১টি ডিরারের মাধ্যমে ২৬৮৩১ নাগরিকের মধ্যে কার্ড বিতরন করা হয়েছে। তবে আত্মীয় ও দলীয় করন করে দেয়া হয়েছে ডিলার শিপ। কার্ড ও চাল বিতরনে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও-প্রশাসন বলছেন ভিন্ন কথা।
শার্শা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এলএসডি গোডাউন নাভারন সন্দিপ কুমার দাস বলেন-ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে বিতরন হচ্ছে চাল-অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। তিনি সব ইউনিয়নে পরিদর্শন সহ কঠা নজরদারী করছেন। গোয়েন্দার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করছেন। চাল বিতরনে কোন অনিয়ম পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।