খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ৮ নভেম্বর ২০১৬: ভাটি এলাকা হিসেবে পরিচিত হাওড় অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার ৫৩৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়া ৬৮২টি সহকারি শিক্ষকের পদও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৭টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২৪টি, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ২৩টি, ছাতক উপজেলায় ৬০টি, তাহিরপুর উপজেলায় ৫৩টি, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৫১টি, ধর্মপাশা উপজেলায় ৭৫টি, শাল্লা উপজেলায় ৪৭টি, দিরাই উপজেলায় ৫১টি, জগন্নাথপুর উপজেলায় ৫৯টি, এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ৪৯টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকায় দাপ্তরিক কাজ সহ পাঠদানে অন্য শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়। সচেতন মহল বলছেন, মাত্র ৩৫ পার্সেন্ট শিক্ষার হার এ জেলায়। শিক্ষক সংকট প্রকট হলে ভবিষ্যতে আরো নি¤œ দিকে ধাবিত হবে এ জেলার শিক্ষার হালচাল। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
শূন্যপদের তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হযরত আলী বলেন, পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ জরুরি ভিত্তিতে পূরণ করা প্রয়োজন। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।