খোলা বাজার২৪, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৬:
কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা ও সাংসদ শিবলী সাদিকের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তালাকের কার্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংগীতশিল্পী সালমা জানালেন, তিনি ও তার স্বামী শিবলী সাদিক আর একসঙ্গে নেই। বিচ্ছেদ হয়েছে তাদের বিয়ের। ২০ নভেম্বর তারা চূড়ান্তভাবে আলাদা হয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল তাদের পারিবারিক সমস্যা। অবশেষ তারা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
সালমা বলেন, অনেকদিন ধরেই আমাদের মনোমালিণ্য চলছিল। অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সংসার বাঁচাতে পারলাম না। অনেক কিছু মেনেও নিয়েছি।
আমার প্রিয় বিষয় গান-বাজনা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তার মতো করে চলতে চেয়েছি। আসলে আমরা দুজনই আলাদা ভুবনের। সে রাজনীতিক আর আমি গানের মানুষ। আমার এ বিয়ে করাটাই ছিল ভুল। অল্প বয়সে না বুঝেই আমার জীবনের বড় ভুলটি করেছি।
কণ্ঠশিল্পী আরো বলেন, ‘আসলে গেল ২০ তারিখ কেবল আনুষ্ঠানকিতা হলো। সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই আমার গান করা নিয়ে তার আপত্তি। সে কিছুতেই আমাকে গান করতে দেবে না। এ নিয়ে প্রায়ই তর্ক হতো। তাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে চার-পাঁচ মাস ধরে আলাদা থাকছি আমি মায়ের বাসায়। প্রথমে মেয়েটা কিছুদিন আমার সঙ্গে থাকলেও পরে শিবলী এসে নিয়ে যায়। তারপর অনেকদিন মেয়েটাকে দেখার সুযোগ পাইনি। তবে এখন আর কোনো ঝামেলা নেই।’
এদিকে, সাংসদ শিবলী সাদিক বলেছেন, সালমার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনই বিবাহ বিচ্ছেদের মূল কারণ। তিনি দাবি করেন, সালমার অস্বাভাবিক চলাফেরার কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে।
এমপি শিবলী বলেন, ‘আমার পরিবার ও বংশ সম্পর্কে আপনাদের হয়তো ধারণা আছে। দিনাজপুরের স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পটের সুবাদে অনেকে আমাদের চেনেন। সালমার অস্বাভাবিক চলাফেরার কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটেছে। সালমা রাত-বিরাতে বিভিন্ন জায়গায় যায়। এটিই মূল সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এটাই আমরা এক্সসেপ্ট করতে পারিনি।’