খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০১৭: উপনির্বাচনকে ঘিরে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সহিংসতা মারাত্মক রূপ নিয়েছে। গতকাল রোববার বিভিন্ন দলের কোন্দল ও সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত হয়। এ ছাড়া পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও অন্তর্কলহে আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন।
রোববার দুপুরে শ্রীনগর ও বাদানগড়ে বিক্ষোভরত জনতার ওপর গুলি ছোড়ে ভারতের পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী। এতে গুরুতর আহত একজন পরে হাসপাতালে মারা যান। তবে জনতার ওপর গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করেছে স্থানীয় পুলিশ।
এদিকে, সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে কাশ্মীরের অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এই ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের জুন মাসে শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময়ে আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যটির বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের (এইচএম) শীর্ষ কমান্ডার বুরহান মোজাফফর ওয়ানি (২২)।
ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যটির গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়লে একই দিনে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আর একজন নদীতে ডুবে মারা যায়।
ওই ঘটনার পর প্রায় তিন মাস লেগেছিল কাশ্মীরের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে। এই পুরো সময় ধরে চলে নানা নাশকতা ও সহিংসতা। আর এই চলমান সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ১৫০ জনের বেশি মানুষ।
ওই পুরো সময় ধরে কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। নাশকতার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি রেলপথ। গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। স্থগিত করা হয়েছে পুণ্যার্থীদের অমরনাথযাত্রাও। ব্যাংক-বিমাসহ অন্যান্য অফিস-আদালত বন্ধ রাখা হয়।
হিজবুল মুজাহিদিন কাশ্মীরের অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের একটি। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে সহিংসতায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।