খােলা বাজার২৪। শনিবার, ২৮অক্টোবর ২০১৭: ‘আমার ছবি আসবে আর জাতি দুই ভাগ হয়ে যাবে না এটা এখনো ঘটে নাই। সেই ব্যাচেলর থেকে শুরু। ব্যাচেলরের সময় তো ফেসবুক ছিল না। পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে গালাগাল দিতে দিতে বিবমিষা ধরাইয়া দিছিলো। থার্ড পারসনের সময়তো আরও খারাপ অবস্থা। তবে আশার কথা এই যে, কিছু বছর পর যে কাজটার জন্য পক্ষে-বিপক্ষে বেশি কথা শুনতে হয়, সেই কাজটাই মোটামুটি একটা স্বাভাবিক স্রোতে রূপ নেয়।’
কথাগুলো মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর। নতুন সিনেমা ‘ডুব’ নিয়ে প্রথমদিনের প্রতিক্রিয়ার জবাবে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে শনিবার সকালে বলছিলেন তিনি।
ফারুকী বলেন, ‘এর একটা কারণ হইতে পারে, আমার কাছে সিনেমা হইলো শিল্পীর নিজস্ব শৈল্পিক ভঙ্গির প্রকাশ। সেটা আগে কী দেখেছি সেই অভিজ্ঞতাকে প্রায়শই চ্যালেঞ্জ করতে পারে। আপনি সিনেমা বইলা যা জানেন, যে ফর্মূলাগুলা আপনার অভিজ্ঞতার মধ্যে আছে সেটার সাথে কোনো মিল না রাইখা একদম অন্য রাস্তায় হাঁটতে পারে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই জিনিস একটা উত্তপ্ত আলোচনার জন্ম দেয়, পক্ষে এবং বিপক্ষে (ভালো লাগা-মন্দ লাগার কথা বলছি না, সেটা যে কারোরই যে কোনো ছবির ক্ষেত্রে লাগতে পারে। বলছি, পক্ষ-বিপক্ষ অ্যাক্টিভিজমের কথা)।”
তিনি জানান, ‘ডুব’-এর পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছে। সেখান থেকে কিছু বিষয় রাতে সময় টেলিভিশনে আলোচনা করবেন।
ভ্যারাইটি, হলিউড রিপোর্টার, স্ক্রিন ডেইলি ও ফেস্টিভ্যালের ক্রিটিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, “ভাবতেছিলাম এই যুগে সত্যজিৎ রায়ের জন্ম হইলে কি দশা হইতো। এমনিতে নাকি, উনাকে উনার জীবদ্দশায় একটা আজব কাজ করতে হইতো। সারা সপ্তাহে যারা যারা উনার ছবিকে সমালোচনার নামে ধুয়ে দিতো তাদের প্রতিটা কথা পয়েন্ট বাই পয়েন্ট উত্তর লিখতে হইতো ছদ্ম নামে। তারপর এগুলা দুরের পোস্ট অফিসে গিয়ে পোস্ট করে আসতে হইতো। আর এই ফেসবুকের যুগে হইলে উনার দশা কী হইতো ভাবা যায়? যেখানে ‘জুম্মন কসাই’-এর নিক্তিতে মেপে ক্রিটিসিজম লিখতে পারে আব্বাস কিয়ারোস্তামির বা মার্বেল বা ডিসি কমিকসের ছবির থার্মোমিটার দিয়া মাপা যাইতে পারে টেস্ট অব চেরি, সেই ফেসবুকের যুগে সত্যজিৎ রায়ের কথা ভাবলেই শিউরে উঠতে হয়।”
আরো লেখেন, ‘আমাদের সমসাময়িক বা পরের যুগের ফিল্মমেকারদের উদ্দেশ্যে এইখানে আমার বলবার কথা হচ্ছে, এই নয়েজের যুগে আপনাকে আরও বেশি নিজের কণ্ঠস্বরের দিকে তাকাতে হবে, তাকাতে হবে নিজের দর্শকের প্রতি যে আপনার ছবির সঙ্গে হাসছে, কাঁদছে, ভাবছে। নাহলে আপনাকেও কেবলই ছাঁচের ছবিই বানাইতে হবে। কারণ জুম্মন কসাই বা সুপার হিরো মুভিওয়ালা আপনাকে আক্রমণই করবে আপনার ছাঁচ থেকে বের করে তার ছাঁচে ঢোকানোর জন্য।’
বাংলাদেশ, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ৮১টি সিনেমা হলে ‘ডুব’ মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। যার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের ইরফান খান। আরো আছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী ও পার্নো মিত্র।
image-id-665695
‘এক রাত মজা করো, পরের দিন ভুলে যাও’
image-id-665571
এবার ‘দাবাং থ্রি’, সালমানের সঙ্গে সানি লিওন!
image-id-665567
শাবনূরকে দেখে অভিনয়ে আসেন আঁচল
image-id-665558
‘ডু্ব’-এর পক্ষ-বিপক্ষ : যা বললেন ফারুকী