খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭: প্রাথমিক স্তরের সমাপনী-ইবতেদায়ী পরীক্ষাকেন্দ্রে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করা হবে।এছাড়া সারাদেশের পরীক্ষাকেন্দ্র মনিটরিং করতে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের ৩৮ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ড. এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘পরীক্ষা গ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। প্রশ্নপত্র ফাঁস বা গুজব ছড়ানো বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন ও প্রশ্নপত্র বিরতণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘বিজিপ্রেস থেকে শুরু করে ট্রেজারি পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের সব পথ বন্ধ করা হয়েছে। ট্রেজারি থেকে পরীক্ষার শুরুর এক ঘণ্টা আগে প্রশ্নের প্যাকেট খোলা হয়। সেখান থেকে কেন্দ্রে প্রশ্ন সরবরাহ করার সময় কেউ যদি প্রশ্নের ছবি তুলে ফেসবুকে ছেড়ে দেয় সেজন্য পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আজ মঙ্গলবার একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিম এ ব্যাপারে সজাগ অবস্থানে রয়েছেন। তারপরও একাধিক সেটের প্রশ্ন করা হয়েছে। কোনো কারণে একটি সেটের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেলে বিকল্প সেটের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র জানায়, আগামী রোববার ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা। এতে অংশ নিতে ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন এবং ইবতেদায়ীতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৫৬ জন।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহামান আগামী বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরীক্ষা শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণ শিক্ষামন্ত্রণালয়, ডিপিই, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, জেলা ও উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। ডিপিইও আলাদা মনিটরিং টিম গঠন করেছে।