Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭:আগামী ১ ডিসেম্বরে মুক্তি পাচ্ছে অভিনয়শিল্পী জাহিদ হাসানের নতুন ছবি তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘হালদা’। এ প্রসঙ্গে কথা শুরুর আগে জানা গেল আরেকটি নতুন খবর। রোববার সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে বসেই জাহিদ হাসান জানালেন তাঁর নতুন সিনেমার কথা।

নতুন সিনেমার নাম কী?
এবার আমি পুরোপুরি কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করব। আমার নতুন সিনেমার নাম ‘সিতারা’। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক আবুল বাশারের ‘ভোরের প্রসূতি’ উপন্যাস অবলম্বনে এই সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে। পরিচালক আশীষ রায়। সিনেমাটি বাংলা ও তেলেগু ভাষায় তৈরি হবে।

‘সিতারা’ সিনেমায় অভিনয়ের ব্যাপারে যোগাযোগ হলো কীভাবে?
মাস দুয়েক আগে কলকাতা থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। শুরুর দিকে আমাকে ফোন করে, এরপর এসএমএস পাঠায়। একসময় আমরা কথা বলি। এরপর উপন্যাসটা পড়েছি। আমার তো খুব ভালো লেগে যায়। তারপর আমাকে স্ক্রিপ্ট পাঠানো হয়। এরপর সবকিছু চূড়ান্ত করেছি। চুক্তি হয়ে গেছে। এই সিনেমায় আমি ‘দিলু’ চরিত্রে অভিনয় করব।

এই সিনেমায় আপনার সহশিল্পী কে?
এখনই বলতে চাচ্ছি না।

‘সিতারা’ সিনেমার শুটিং কোথায় হবে?
পরিচালকের কাছ থেকে শুনেছি, দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকার ভারত অংশে এই সিনেমার শুটিং হবে। নভেম্বরের শেষে সিনেমার শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগের বন্যার কারণে নাকি সেখানে এখন শুটিং করার পরিবেশ নেই। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী বছর জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে আমি খানিকটা চিন্তিত।

চিন্তা কেন?
এই সিনেমার জন্য টানা এক মাস বাসার বাইরে থাকতে হবে। আমি তো আবার ভীষণ আড্ডাবাজ একজন মানুষ। এই এক মাস কীভাবে যে কাটবে, তা নিয়ে টেনশনে আছি।

নতুন এই সিনেমা কেমন হবে?
কাজ শুরু না করার আগে বলা সম্ভব না। তবে টিমের কথা শুনে মনে হয়েছে, তারা একটা ভালো সিনেমা বানাতে চায়। এটাও ঠিক যে সবাই তো সবকিছু শুরুর আগে অনেক কিছুই বলে। তবে আমি এখনই কিছু বলতে চাই না।

এখন নাটক নিয়েই ব্যস্ত আছেন?
ব্যস্ত আছি বলব না। অনেক নাটকে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই, কিন্তু নাটকের কাজ খুব একটা করি না।

কেন?
ভালো গল্প পাই না। অনেক কাজের প্রস্তাব পাই, কাজ করতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু দু-একটা কাজ না করে উপায় থাকে না। বিষয়টা এমন না যে কাউকে ছোট করছি। আসলে অনেকে এমনভাবে বলে, জাহিদ ভাই, আপনি এই কাজটা করে দিলে খুব উপকার হয়, ডালভাত খেতে পারব। তখন একধরনের দায়িত্ববোধ, মায়া আর ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই কাজ করতে বাধ্য হই।

গল্পের এই দুরবস্থা কেন?
গল্পের প্রতি সেই মমত্ববোধ আর ভালোবাসা নেই। এখন চ্যানেলের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আর বেশির ভাগ চ্যানেলের পরিকল্পনা যে কীভাবে হয়, তা আমি জানি না। যত দূর জানি, চ্যানেল থেকে হুট করে বলা হয় নাটক বানাতে। এরপর লেখককে অর্ডার করা হয় নাটক লিখতে, তিনিও দায়সারাভাবে লিখে দেন। এমনই হচ্ছে। সূত্র : প্রথমআলো