খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: পরপর বন্দুকবাজের হামলায় ফের রক্তাক্ত হয়ে উঠল আমেরিকা৷ স্কুল চলাকালীন পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালোনাসহ গোয়েন্দা সংস্থার সরদ দফতরে বন্দুকবাজের হামলায় প্রশ্নের মুখে ট্রাম্পের সাম্রাজ্য৷ টানা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীর ছোঁড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হল মোট ২১ জনের৷ জখম হয়েছেন মোট ৫৫ জন।
জানা গিয়েছে, বুধবার খোদ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সদর দফতরের বন্দুকবাজের হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ ওয়াশিংটনের ঢিল ছোড়া দূরত্বে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি বা এনএসএ’র সদর দফতে হঠাতই এক ব্যক্তি আচমকা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে৷ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ৩ জন৷
এনএসএ’র তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুলি চালোনার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ মুহূর্তেই ওই বন্দুকবাজকে গ্রেফতারও করা হয়৷ এদিন কী কারণে ওই ব্যক্তির গুলি চালিয়েছল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত৷
মঙ্গলবার রাতেও বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত হল আমেরিকার নিউ অরলেন্স৷ ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনের৷ জখম হন তিন জন৷ এদিন সকালেও আমেরিকার এই অঙ্গরাজ্যে দু’টি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে৷ বুধবার শেষ রাতে ফ্লোরিডার একটি নামী হাইস্কুলের মধ্যে গুলি চালোনার খবর পাওয়া যায়৷ দুষ্কৃতীর ছোঁড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু ও ৫০ পড়ুয়া জখম হন৷ আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ঐতিহাসিক স্থান মার্দি গ্র্যাস প্যারেডে। এখানে এক বন্দুকবাজের হামলায় একজনের মৃত্যু হয়। জখম হন দু’জন। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে একটি গোলমালকে কেন্দ্র করে। এক্ষেত্রেও এক ব্যক্তিকে আচমকা গুলি চালিয়ে বসে অন্যজন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নিউ অরলেন্স পুলিশ। সবমিলিয়ে একদিনে আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হল মোট চারজনের৷ জখম হয়েছেন মোট ৫৫ জন।
এদিনের এই ঘটনার পর মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ লাগাতার বন্দুকবাজদের হামলা ও হতাহতের খবরে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সেদেশের বাসিন্দারা৷ কিন্তু, কী কারণে এই ঘটনা? লাগাতার কেন ঘটে চলেছে বন্দুকবাজদের দাপট? ঘটনার পেছনে কী বিলাসবহুল জীবনের বেপরোয়া মনোভাব, নাকি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ? আপাতত এই প্রশ্নগুলিই ভাবাচ্ছে মার্কিন প্রশাসনকে৷ সূত্র: কলকাতা ২৪